মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪টি কলেজের শতভাগ ফেল, পাস করেননি কেউ। এসব প্রতিষ্ঠান হলো, নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালসহ বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে এ বছর পাঁচজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এছাড়া গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেখানে ৬ জন, নলডাঙ্গা উপজেলার সরকোতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ জন এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা উইমেন্স কলেজ থেকে ২ জন শিক্ষার্থী যাদের কেউই কৃতকার্য হতে পারেননি।
এ বছর নাটোর জেলায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী। জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়।
এব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমাদের নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি শুরুর দিকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ভালো ছিল এবং ফলাফলও ভালো ছিল। বিএনপির সরকারের সময় মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে পটপরিবর্তন হলে এখানে কাউকে ভর্তি করাতে দিতো না। কলেজ খুলতেও অনেক সময় বাধা প্রদান করা হতো। এমনকি কলেজের সাইনবোর্ড পর্যন্ত নাই। তবুও প্রতি বছর ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাসের সংখ্যা আশানুরূপ থাকতো। এ বছর যে পাঁচজন পরীক্ষা দিয়েছে তারা কেউ নিয়মিত ক্লাস করত না। মূলত তারা ছিল ঝরে পড়া। আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে প্রতিষ্ঠানটাকে ঢেলে সাজানোর। আশা করি সামনের বছর ভালো ফলাফল হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রওশন আলী বলেন, নাটোর থেকে এ বছর মোট ১১ হাজার ৪৬৭ জন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যার ভেতর পাস করেছে ৮ হাজার ৯৯২ জন। চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন পাস করল না সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করব।
নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাদুজ্জামান বলেন, তিনি নাটোরের বাইরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে একটি মিটিংএ আছেন। যেসব প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে বসা হবে।