নাটোরের লালপুরের পদ্মায় ৪৫ মিটার সিসি ব্লক ধসে নদী গর্ভে : হুমকির মুখে ৬টি গ্রাম

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০১৭, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস


নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে তীব্র পানির ¯্রােতের কারণে ৪৫মিটার সিসি ব্লক ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নুরুল্লাপুর ও আকছেদ মোড় এলাকায় ৪টি পয়েন্টে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। বাধ রক্ষার সিসি ব্লক ধসে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে  উপজেলার ৬টি গ্রাম। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড।  এদিকে, ধসে পড়া বাঁধ পরিদর্শন করেছেন, লালপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার।
জানা গেছে, সিসি ব্লকের ধস শুরু হওয়ায় নটোরের লালপুর উপজেলার নদী তীরবর্তি পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষীপুর, তিলকপুর ও নবীনগর গ্রাম হুমকীর মূখে পড়ছে। আর এজন্য এলাকার লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের ফলেই সিসি ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সিসি ব্লক নদীতে ধসে পড়ছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, পদ্মা নদীর লালপুর উপজেলার নবীনগর, লক্ষীপুর, পালিদেহা, ও গৌরীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ কাজের সাথে জড়িত। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বালু মহল ইজারা না হলেও নদী থেকে বালু ও ভরাট উত্তোলন থেমে থাকে না। প্রতি বছরই নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানাযায়, বালু মহাল নিয়ে মামলা থাকায় ২০০৯ সাল থেকে লালপুরের বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয় নি। এছাড়া পালিদেহা, নবীনগর, লক্ষীপুর এসব এলাকা বালু মহল হিসেবে ঘোষণা হয় নি। ফলে ইজারা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, পদ্মানদীর লালপুর অংশে নদীর তীর রক্ষা সিসি ব্লকের ৪৫ মিটার ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  তবে তা বড় ধরনে কোন সম্যসা নয়। জিও ব্যাগ দিয়ে বাকি ব্লকগুলো রক্ষার চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, সিসি ব্লকের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই মহুর্তে ভয়ের কোন কারণ নেই।