নাটোরে অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ৭:২০ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি


বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের, পক্ষ থেকে নাটোর জেলা প্রশাসক, বরাবর সোমবার ‘এপ্লিকেশন টু দ্য চিফ অ্যাডভাইজার’ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

নাটোর জেলা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরকারের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বেসরকারি কলেজ সমূহে নিয়োগপ্রাপ্ত অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রদুত এমপিও ভুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন, জেসমিন আক্তার, অসীম কুমার, আজিজুল হক, জীবন রহমান মানিক, শাহজালাল , নিলুফা ইয়াসমিনসহ নাটোর জেলার নেতৃবৃন্দরা।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে গত ৩২ বছর ধরে আমাদের ৪৯৫টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে প্রায় ৩৫০০ জন নন-এমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে কোন বেতন-ভাতা না দিয়ে এমপিওবিহীন করে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এর ফলে উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি।

এছাড়া করোনা প্রাদূর্ভাবের সময় থেকে অধিকাংশ কলেজগুলোতে বেতন বন্ধ ছিল। ফলে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত এ সকল শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় সদ্য জাতীয়করণকৃত ৩০২টি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/ ননক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রিস্তরের ৩য় শিক্ষকগণ জনবল কাঠামোয় না থাকার পরও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে ফাজিল ও কামিল (মাস্টার্স সমমান) শ্রেণির শিক্ষকগণও জনবলকাঠামোভুক্ত হয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ বেসরকারি কলেজ সমূহে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকগণ এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিওনীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না, যা চরম বৈষম্য ও সংবিধানের মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত ) মাসুদুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের দেয়া স্মারকলিপি যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ