নাটোরে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ৭

আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬, ১২:১১ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস


খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে নাটোরের নলডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সামাদ মোল্ল নামে একজন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে এ ঘটনায় অন্তত আরো সাতজন আহত হয়েছে। আহতদের নাটোর এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সামাদ মোল্লা নলডাঙ্গা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত্য হাকিম মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী  জানান, নলডাঙ্গা উপজেলার হালতিবিলে কুসকুরি মৌজায় প্রায় ১১একর খাস জমি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান মৃধা এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের মধ্যে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিরোধ পূর্ণ ওই খাস জমি দখল করতে চায় সোহরাব হোসেনের সমর্থকরা। এসময় খলিলুর রহমান গ্রুপের সমর্থকরা বাধা দিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে চাঁদপুর গ্রামের সামাদ মোল্লা ন্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, হাফিজুল ইসলাম রশিদ এবং কুসকুরি গ্রামের টুটুল, নাসির, ময়েন, ও আক্কাস ৮ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সামাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্তায় সোহরাব হোসেন, ও রশিদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ৮ বছর থেকে কুসকুরি মৌজার ৩২ বিঘা জমি নিয়ে কামরুল ইসলাম ও জাহেদ আলীর সাথে বিরোধ চলে আসছে। কামরুলের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন এবং জাহেদ আলীর পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও খাজুরা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান অবস্থান নেয়। আদালতে সরকার পক্ষ মামলায় তিনবার হেরে যায়। শনিবার সকালে জমি দখল নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন এসে তাতে বাধা দেয়। এরই এক পর্যায়ে মিমাংসার লক্ষ্যে সেখানে সোহরাব হোসেন এগিয়ে যায়। ওই কুসকুরি গ্রামের এনা এবং বজুসহ কয়েকজন সোহরাবকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে এবং পায়ের রগ কেটে দেয়।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। এখন পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসে নি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায় নি।