মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
নাটোরে এক ব্যবসায়ীকে অপহরনের সময় র্যাবের হাতে আটক অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি সাদেকুর রহমান লিটন ও অপহরণ মামলায় মিলন নামে অপর এক আসামি নিজেদের নির্দোষ প্রমান করতে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে তাদের অনুসারীরা
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে শহরতলীর হাফরাস্তা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার নব্য আওয়ামীলীগ কর্মী আশরাফুল ইসলাম আসাদের নির্যাতনে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর রাস্তায় চলাচল করা বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন।
অপরদিকে র্যাব ৫ এর নাটোর ক্যাম্পের তথ্য মতে, মিলন ও সাদেকুর রহমান লিটন এদের একটি গ্রুপ গত ১৮ অক্টোর নাটোরে ২৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আওয়ামীলীগ কর্মী ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আসাদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেছে এবং অপহরণের সাথে জড়িত সাদিকুল ইসলাম লিটনকে আটক করতে পারলেও মিলন সহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাপাতি, একটি কিরিস সহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আসাদ জানান, নাটোর শহরের উত্তর চৌকির এলাকায় গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার বাড়ির সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এসময় আসাদের কাছে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই সন্ত্রাসীরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে আসাদকে শহরতলীর তালতলা হাফরাস্তা এলাকায় আটক লিটনের ইটের ভাটায় এনে টাকার দাবিতে আবার নির্যাতন শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে আসাদের পরিবার থেকে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে র্যাব তাকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে।
গত ১৮ অক্টোবর ভোড় রাতে তাকে লিটনের ইটের ভাটা থেকে উদ্ধার করে র্যাব। অস্ত্রসহ লিটনকে র্যাব আটক করলেও পালিয়ে যায় মিলনসহ অন্যরা ।
এঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর সাদেকুর রহমান লিটন কে অভিযুক্ত করে র্যাবের পক্ষ থেকে নাটোর সদর থানায় একটি অন্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। একই দিন অপর এক অপহরন মামলায় সাদেকুর রহমান লিটন, মিলন সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৫-৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন, ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আসাদ।