নাটোরে কথিত চার সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ১:৩৩ অপরাহ্ণ


নাটোর প্রতিনিধি

গাজীপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার কথিত চার সাংবাদিক নাটোরের নলডাঙ্গায় একটি মাদরাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। সাংবাদিক নামধারি চাঁদাবাজদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুৃরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার গৌরিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অভিযুক্তরা হলো, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে লিমন হোসেন (২৭), গাজীপুরের মোঘরখাল এলাকার আবু সাইদ সরকারের ছেলে জয় সরকার (২৮), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হামরাজ গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী জয় (২৭) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার ভারতকান্দি গ্রামের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে সিহাব মিয়া (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে নলডাঙ্গার গৌরিপুর হাফেজিয়া এবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানায় যায় কথিত চার সাংবাদিক। এসময় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে তারা নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তারা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভয়ভীতি দেখায় এবং ১ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় তাদের কথা ও চলাফেরায় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা কখিত সাংবাদিকদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই চারজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

এঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তিন যুবক এবং গাড়ি চালককে আসামি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ইতোপূর্বেও একবার ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা একই কায়দায় ধৃতরা নিয়ে গেছে। তারা মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করতেন।

মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, আগেও সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করে টাকা নিয়েছে। আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমি সভাপতির কাছে পাঠাই। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ভূয়া শনাক্ত করে পুলিশের হাতে সৌপর্দ করেন।

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মনোয়ারুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃত চাজনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষক রোকনুজ্জামান একটি চাঁদাবাজি মামলা করেছেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে তাদেরকে বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে অভিযুক্তরা সবাই নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন। এসময় তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার পরিচয়পত্র ও লগো দিয়ে স্টিকার লাগানো চারটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তবে তারা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ