নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এতে জাহাঙ্গীর আলী নামে এক দোকানি গুলিবিদ্ধ এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজসহ ১৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ও বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া জেলা আ’লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার এবং তিনজনের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে জেলা আ’লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারি নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এতে দু-পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ দু-পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মিরা তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এসময় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা আরেকটি অনুষ্ঠানে যেতে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাটি অফিসে আসছেন জানতে পারি। আমরা তাদের বলি, পার্টি অফিসে নৌকা বিরোধী কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবে না। আপনারা অন্য জায়গায় প্রোগ্রাম করেন। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালাগালি করে। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা করে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আমরা পার্টি অফিসে যাই। এসময় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের দাবী পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।