নাটোরে জামায়াত নেতাকে মারধর, পলকসহ ২৯ বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

আপডেট: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ৭:২১ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি


নাটোরের সিংড়ায় আব্দুর রাজ্জাক নামে জামায়াতের এক নেতা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় পলকসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভূক্তভোগি আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সিংড়া থানায় এ এজাহার দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীর জুনাইদ আহমেদ পলক, সিংড়া আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, পলকের শ্যালক লুৎফর হাবিব রুবেল, চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ আওয়ামীলীগের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ছাতার বাড়িয়া শাহী জামে মসজিদে ইসলামী জালসায় আমি আলোচক হিসেবে আলোচনা করছিলাম। জালসায় প্রধান অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও তার সঙ্গে ২/৭ নম্বর আসামীরা উপস্থিত ছিল। জালসায় ১ নম্বর আসামী পলক মৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৫ আগস্টে নিহত ব্যাক্তিদের নাম ধরে দোয়া করার জন্য নির্দেশ দেন। আমি কারো নাম উল্লেখ না সকলের উদ্দেশ্যে দোয়া-মোনাজাত শেষ করি। সভা শেষে ১ নম্বর আসামী আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।

গত ২০২৩ সালেন ১০ নভেম্বর মোটরসাইকেল যোগে কালিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ থেকে আলীগঞ্জ রহিম উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে আমার গতি রোধ করে জোর পূর্বক অপহরণ করে আমাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর গাড়ির মধ্যে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পায়ের হাটুতে আঘাত করে এবং এ্যালোপাথারি মারপিট করে চোখ বেঁধে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়।

নন্দীগ্রাম মনিনাগ বাজারের একটি পুকুরের পাড় থেকে স্থানীয়রা আমাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। ২ মাস রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করি। আসামীদের হত্যার হুমকির কারণে প্রাণের ভয়ে অভিযোগ করতে পারিনি বলে উল্লেখ করা হয়।

সিংড়া থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসমাউল হক বলেন, থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। মামলার কাজ চলছে বলে জানান।