নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পুনঃখননকৃত জিয়া খাল দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১০টার দিকে উপজেলার হালতি গ্রামে এলাকায় হালতি ও বাশিলা গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনোয়ার জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন, উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের ইসমাইলের ছেলে এন্তাজ আলী (৪৫), শামসুলের ছেলে রাজ্জাগ আলী (৩৮), ও একই গ্রামের আজিজের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৬), প্রতিপক্ষ হালতি গ্রামের ফলেনের ছেলে সেলিম (২৬), রশিদের ছেলে রাশেদ (৩০), উজ্জল (২৫), তার বোন রুপালি (২৮)।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাশিলা ও হালতি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পুনঃখননকৃত জিয়া খাল উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে ভোগদখল করে আসছিল স্থানীয় মৎস্যজীবী এলাকাবাসী। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাশিলা গ্রামবাসী ও মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের জন্য জিয়া খালের বাশিলা মৌজার অংশ দখল করে নেয়। অন্যদিকে হালতি গ্রামের মৎস্যজীবীরা হালতি গ্রামের অংশের খাল দখলে নেয়।
এই খাল দখল করে মাছ শিকারকে কেন্দ্র কওে রোববার বেলা ১০ টার দিকে হালতির বিএনপির কর্মী ফলেন গ্রুপ ও বাঁশিলা গ্রামের মৎস্যজীবীর পক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিয়া গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাঁশিলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালটি পুরোপুরি দখল নিতে যায়। এতে হালতি বিলের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় খালের ধারে খাল পাহারা দেওয়ার কক্ষ ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন গুরুতর আহত হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনোয়ার জাহান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।