নাটোরে টিসিবি পণ্য বিতরণকালে ইউপি পরিষদ থেকে চেয়ারম্যানকে বের করে দিলেন বিএনপি নেতা কর্মীরা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি


টিসিবি পণ্য বিতরণ কালে নাটোরের লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে ইউপি পরিষদ কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন স্থানীয় চিহ্ন বিএনপির নেতা কর্মীরা। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার জাহান সাথী সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। ওই চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।



রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার হয়বতপুর বাজারের লক্ষিপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু তার নিজ অফিসে বসে টিসিবি পণ্য বিতরণ করছিলেন। এসময় পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্খিত ছিলেন। হঠাৎ হয়বতপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভপতি ফজলুর রহমানসহ তিন ৫-৭জন যুবক সেখানে


এসে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাহিরে আসতে বলে। এতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে চেয়ারম্যান তাদেরকে বসে কথা বলতে চাইলে তারা কথা না বলে দ্রুত পরিষদ থেকে চেয়ারমানকে হাত ধরে টেনে বের করে দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু বলেন, আমি স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সব দলের লোকজন তাকে ভোট দিয়েছেন। শুধু আওয়ালীগ করি সেই অপরাধে ৫ আগষ্ট আমার বাড়িতে হামলা করে আগুন দিয়েছে। সেই আগুন বিএনপির লোকজনসহ অন্যরা নিভিয়েছেন। এদিন টিসিবির পণ্য বিতরণের উদ্ভোধন করে আমার রুমে যেয়ে বসতেই বিএনপির কিছু লোকজন এসে বলে বাহিরে চলেন কথা আছে। কি কথা এখানেই বলতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে পরে এবং বলেন, ‘আপনি আর ইউনিয়ন পরিষদে আসবেন না, বাসাতেই থাকবেন’। সেখানে স্থানীয় বিএনপির ফজলুর রহমান, রাজিব, সুমন এরা ছিল বাহিরে থেকে মফিজ, লাবু ছিলো। এর আগে এরাই ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে বলে হুমকি দিয়ে এসেছেন।

এব্যাপারে ফজলুর রহমান বলেন, কৃষক দিনমুজুর এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকেরা টিসিবি পন্য নিতে আসছিল। চেয়ারম্যানকে দেখে তারা সবাই সেখান থেকে চলে যেতে বলেন এসময় সে নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে, সম্মানিত ব্যক্তি মনে করে আমি তাকে হাত ধরে নিয়ে মটরসাইকেলে তুলে দিয়েছি মাত্র।

এবিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যদি দুর্নীতি করে থাকে কিংবা অন্য অভিযোগ থাকে সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কাউকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া উচিত নয়, এটা অন্যায়। আমাদের নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান করেছেন, এবং তৃনমুল নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। যদি কেউ অন্যায় করে সেটা যাতে আইনিভাবে মোকাবেলা করে, আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) আকতার জাহান সাথী বলেন, বিষয়টি আমাকে জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। ততক্ষণে চেয়ারম্যান চলে যায়। টিসিবির পণ্য সুষ্ঠ ভাবে বিতরণ হয়েছে।
নাটোর সদর থানার (ওসি)তদন্ত শফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে বা এই ঘটনা সংক্রান্তে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।#

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ