নাটোরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

নাটোর প্রতিনিধি:

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ জুন) নাটোর জেলা প্রশাসকের আয়োজনে এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামূল হাবীব।

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বক্তব্য দেন, নাটোর মাদক নিয়ন্ত্রণ কার্য্যলয়ের উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান, নাটোর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) শামছুন নাহার এবং নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুর রহমান প্রমূখ।

এ কর্মশালায় উপস্তিত ছিলেন, জেলা প্রশাকের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও এনজির প্রতিনিধি বৃন্দ।

অতিরিক্ত সচিব মো. এনামূল হাবীব বলেন, নাটোর জেলার মধ্যে একটি উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসাবে নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এর প্রয়োগ এবং জনসচেতনা বৃদ্ধিও পাশাপাশি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নির্মূলে আমরা সক্ষম হবো।

এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফ হোসেন বলেন, দেশে ধোঁয়া-যুক্ত তামাক ব্যবহারকারী ১ কোটি ৯২ লক্ষ ও ধোঁয়া-মুক্ত তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লক্ষ ব্যক্তি। দেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার ব্যক্তির প্রাণ-হানীর ঘটনা ঘটছে।

তামাকে সাত হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক এবং ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে। তামাক ব্যবহারে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কন্ঠনালির ক্যান্সার এবং ব্রংকাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।

তবে দেশে তামাকের ব্যবহার কমছে। ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর শতকরা হার ৩০ শতাংশ থাকলেও ২০২২ সালে কমে হয়েছে ১৭.৬ শতাংশ। এই লক্ষ্যে ২০০৫ সালে প্রণীত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে তৃতীয়বারের মত সংশোধনীর মাধ্যমে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিধিমালাও জারি করা হয়েছে। এছাড়া কিশোর ধূমপান আইন-১৯১৯ দেশে বহাল রয়েছে।