নাটোরে তিন উপজেলা থেকে ২৫ ‘চাঁদাবাজ’ গ্রেপ্তার

নাটোর,সিংড়া ও লালপুর প্রতিনিধি:নাটোরের ৩ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে কাঁচা শাক-সবজি, পণ্য পরিবহনের ট্রাক, অটোরিক্সা ও বাস থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সন্জয় কুমার সরকার জানিয়েছেন, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নাটোর সদর, সিংড়া ও লালপুরের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের কাছে থেকে নগদ ২১ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৬টি মোবাইল ফোন এবং চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে ধৃতরা চাঁদাবাজি করতেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তিন উপজেলা সিংড়া থেকে গ্রেপ্তার হলেন, সিংড়ার চাঁদপুরের আশরাফুল ইসলাম স্বপন (৪৫), বালুঘোড়ার আনোয়ার হোসেন (৫০), গোডাউনপাড়ার মো. আকরামুল ইসলাম (৩৮), মাদারীপুরের মো. এরশাদুল (৪৮), একই এলাকার মো. বাবুল খান (৪৭), চাঁদপুরের মো. মনসুর রহমান (৩৭), লিংগুইনের মো. মোজাহার (৫৫), দমদমার বারেক সর্দার (৫৫), একই এলাকার মো. হাসান আলী (৫৬), বালুয়া বাসুয়ার মো. জিয়াদুল ইসলাম (৫৫), দমদমাপর কাটাপুকুরের ফাইজুল ইসলাম (৩৫), এবং সকারপাড়ার মো. আরিফুল ইসলাম (৩০)।

তিন উপজেলা নাটোর সদর থেকে গ্রেপ্তার হলেন, নলডাঙ্গার পাটুলের আব্দুর রাজ্জাক (৪০), নাটোর সদর নবীনগরের মো. বাবু প্রামানিক (৩৫), নলডাঙ্গার বাঁশভাগ পাটুলের মো. বেল্লাল হোসেন (৫৬), রাজশাহীর বোয়ালিয়া বোসপাড়ার মো. রুপস আলী (৪১) এবং নলডাঙ্গার রায়সিঙ্গপুরের মো. ফারুক (৩৬)।

তিন উপজেলা লালপুর থেকে গ্রেপ্তার হলেন, লালপুর রামকৃষ্ণপুরের মো. রানা (২৮), বালিতিতা ইসলামপুরের মো. শাহজাহান আলী (৬২), রামকৃষ্ণপুরের মো. আব্দুল খালেক (৬৫), জদ্দইবগির মো. আজাহার শেখ (৫২), একই এলাকার মো. আফজাল হোসেন (৬০), মহেশপুরের মো. রাইজুল ইসলাম (৩৫), গোপালপুরের মধুবাড়ীর মো. রেজাউল করিম (৬২) এবং বৈদ্যনাথপুরের মো. উজ্জল হোসেন (২৮)।
সন্জয় কুমার সরকার জানান, কাঁচা শাক-সবজি, পণ্য পরিবহনের ট্রাক, অটোরিক্সা ও বাস থেকে স্থানীয় রাজনীতিবীদ ও প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের সময় নগদ টাকা এবং চাঁদার রশিদসহ চাঁদাবাজ চক্রের এই সদস্যদের আটক করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাটোরে র‌্যাবের ওই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারদের ব্যবহার করা স্থানীয় রাজনীতিবিদ, প্রভাবশালী এবং চাঁদাবাজির রশিদে যেসব নাম আছে সেসব এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।