নাটোরে বাস কাউন্টারে হামলার অভিযোগ,পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও মানববন্ধন

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি:


নাটোর শহরের বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে রাজকীয় পরিবহনের কাউন্টারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও মানববন্ধন শ্রমিকরা। শনিবার ২৬ এপ্রিল বিকেলে ও সন্ধার পরে এই সমাবেশ ও মানববন্ধনের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনার পর পরই, নাটোর থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।

নাটোর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ শে এপ্রিল রাজকীয় পরিবহনের বাস চালক মনির হোসেনের সঙ্গে আর পি রোকেয়া পরিবহনের বাস কন্টাকটার রুবেলের তুচ্ছ বিষয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ২৬ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা শ্রমিক পরিবহন অফিসে দুই পক্ষ সমঝোতা বৈঠকে বসে। কিন্তু সেখানে সমস্যার সমাধান না করে আরপি রোকেয়া পরিবহনের মালিকরা সমঝোতা বৈঠক থেকে বের হয়ে যান। এরপর ৪০-৪৫ জনের একটি দল সঙ্গ বদ্ধ হয়ে রাজকীয় পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালায়। এ সময় তারা কাউন্টার মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন কে মারধর করে আহত করে এবং কাউন্টারের আসবাবপত্র ভাঙচুর চালান এবং জোরপূর্বক কাউন্টারটি বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় রাজকীয় পরিবহনের বাস কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে নাটোর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে রাজকীয় পরিবহনের সমস্ত বাস রাস্তায় চলাচল বন্ধ রেখে শ্রমিকরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। সমাবেশে রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান বলেন, বর্তমানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের আত্মীয়র সুবাদে আরপি রকেয়া পরিবহনের মালিকগণ নানাভাবে রাজকীয় পরিবহনের মালিক ও স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। তারা রাজকীয় পরিবহনের রাজশাহী -বেনাপোল, রাজশাহী-রংপুর ,বাঘা-বগুড়া ,নাটোর- বগুড়া এবং সিংড়া -রাজশাহীর বাস ট্রিপ জোড়পূর্বক কেড়ে নিয়েছে। মশিউর রহমান বলেন, তিনি এ ঘটনায় নাটোর থানা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।

অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যার পর আর পি রোকেয়ার মালিক গণ তাদের বাসের শ্রমিকদের নিয়ে বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আরপি রোকেযার মালিক মোঃ মানিক মোহাম্মদ হানিফ মোঃ মোক্তার প্রমুখ । তারা বলেন মজিবর রহমান একজন পরিবহন মাফিয়া ।বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপ অফিস নিয়ন্ত্রণ করা সহ তার বাহিনীর হামলায় তাদের একজন আত্মীয় পঙ্গু হয়ে গেছেন। তিনি তিনি সামান্য বাস মাস্টার থেকে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিভাবে তিনি এত টাকার মালিক হলেন এ প্রশ্ন রাখেন বক্তাগণ। তারা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে মজিবর রহমানের গ্রেপ্তার দাবি করেন।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। একটি মহলের প্ররোচনায় রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনা দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা জানার পরপরই দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা সহ আমরা এ ঘটনা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ