নাটোরে বিএনপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় নেই তৎপরতা

আপডেট: জুলাই ৪, ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি:


নাটোরে বিএনপির সমাবেশে হামলার ও সমাবেশ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ার পরে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে তার ডান হাতের কজ্বি প্রায় বিছিন্ন করা ঘটনায় কোন পক্ষের তৎপরতা নেই। এদিকে এ ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ক্উাকে আটক না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছেন, হামলায় যারা সরাসরি জড়িত তাদের বেশ কিছু তথ্য প্রমান পুলিশের হাতে রয়েছে। বিএনপি বা আহতের পক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করে তারা এখন পর্যন্ত কোন এজাহার দেননি।

এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলছেন, আমরা মামলার এজাহার প্রস্তুুত করেছি এখন কে বাদী হবে তা নির্ধারণ করে আজ শুক্রবার মামলাটি থানায় দাখিল করা হবে। এছারা ভিকটিমের যে অবস্থা তার সুচিকিৎসা জন্য আমরা সেদিকে তৎপর ছিলাম। মামলা দু-একদিন পরেও করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, শহীদুল ইসলাম বাচ্চু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। গোটা উত্তরাঞ্চলে তাকে এক নামেই সবাই চেনেন। জেলার একজন প্রধান নেতা, তার গায়ে এমন আদিম বন্য হিংস্রতায় আক্রমণ করা হয়েছে। তার হাত-পা, মুখ ক্ষতবিক্ষত করে, তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা এবং সেখানকার এমপি শিমুল সাহেব (শফিকুল ইসলাম শিমুল)।

উল্লেখ্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বুধবার (৪ জুলাই) সকালে নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। সমাবেশে যোগ দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু যাচ্ছিলেন। এ সময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন লোক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার পা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে বাচ্চুকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। এরপর তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিএনপি বা আহতের পক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হয়েছে তারা এখন পর্যন্ত কোন এজাহার দেননি। এজাহার ছারা আমরা আসামি আটক করে কিভাবে চালান দিবো? অভিযোগ পেলেই আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নেবো।

Exit mobile version