রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:নাটোরের নলডাঙ্গায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্কুল ছাত্র ফারহান জাহি হিমেলকে (১৫) মুক্তিপণের জন্য হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তার দুই বন্ধু শিমুল ও মেহেদি। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর কাছে তারা ওই জবানবন্দি দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা ও ইফতার করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় হিমেল । নিহত ওই স্কুলছাত্র ফারহান জাহি হিমেল পাটুল হাফাঁনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। এবং পিপরুল গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে ।
মুক্তিপণের নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহত হিমেলের বন্ধু। তাঁরা মুক্তিপণের জন্য কুপিয়ে হিমেলকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনের ঘর থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার রাতেই জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক চারজন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম মাইনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা ও ইফতার করার কথা বলে হিমেল বাড়ি থেকে বের হয়। ইফতারের পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে থানায় জিডি দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে হিমেলের সঙ্গে মুঠোফোনে সর্বশেষ সজলের যোগাযোগের তথ্য পায়। এসময় পুলিশ সজলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তার অপর এক বন্ধুকে (১৭) আটক করে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনের ভেতর থেকে ভুট্টাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, নিহত হিমেলের বাবা ওমর ফারুক।