নাটোরে যুবদল নেতার হাত ভেঙে দিলো প্রতিপক্ষ

আপডেট: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি


নাটোরের সদর উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে মো. আসাদ (৪০) নামে স্থানীয় যুবদল নেতাকে রড ও কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোমবার দুপুরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খবর পেয়ে নাটোর সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান করেন।

এদিকে এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী শাবানা আক্তার বাদি হয়ে সোমবার রাতে নামীয় সাতজন এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৭জন আসামি করে নাটোর সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। আহত আসাদ স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা উজ্জ্বল মাস্টারের অনুসারী। আসাদ সদর উপজেলার ছালাম মোড় এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে হামলাকারী ওসমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আমির হোসেন এবং স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তোমার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা শামসুল হক এর ছেলে উজ্জ্বল মাস্টারের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি সময় দলীয় শৃঙ্খলা বঙ্গের অভিযোগে আমির হোসেনকে শোকজ করা হয়। গত ৭ নভেম্বর আমির হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হলে ওই ঘটনায় উজ্জল মাস্টার এবং যুবদল নেতা আসাদসহ অন্যদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই ঘটনায় উজ্জল মাস্টার বর্তমানে জেলে রয়েছে।

মামলার বাদী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসাদ গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কনফেকশনারি দোকান নাটোর শহরের হরিশপুর বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার সময় লক্ষ¥ীপুর খোলাবাড়ীয়া বাজারে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ ওসমান এবং আমির হোসেন এর অনুসারী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসাদের পথরোধ করে। এসময় তারা আসাদকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে আসাদ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার পকেটে থাকা সাড়ে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় রাতেই আহতের স্ত্রী শাবানা বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুর রহমান জানান, এই ঘটনায় আহতের স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। এ বিষয়টি মামলা হবে। যা নথিভুক্ত করার জন্য ভুলে গেছে নাকি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ