শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় নাটোরে পেঁয়াজের বাজারে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। খুচরা ও পাইকারি বাজারে রাতারাতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রাতারাতি দ্বিগুণ দামের কারণে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে কোনো মনিটরিং নেই, যে যার মত দাম রাখছেন। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খুচরা ক্রেতারা।
একদিন আগেও যে পিয়াজ নাটোরের বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকার প্রতিকেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকায়। দাম বৃদ্ধির কারন জানেননা কেউ। বাজারে কোনো মনিটরিং নেই, যে যার মত দাম রাখছেন। প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন খুচরা ক্রেতারা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নাটোর শহরের মাদ্রাসাবাজার, নীচা বাজার, ষ্টেশন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভিন্ন ভিন্ন দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কিছু সময় দেশী পিঁয়াজ প্রতিকেজি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দাম হাঁকা হয়। একই সাথে ভারত থেকে আমাদনিকৃত এবং নতুন ওঠা পিয়াঁজের দাম বাড়ানো হয়।
গত শুক্রবার নাটোরের নিচাবাজার, স্টেশন বাজার ও মাদ্রাসা বাজারে আমদানিকৃত এইসব পিঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা এবং নতুন পিঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। শনিবার আমদানিকৃত পিঁয়াজ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা এবং দেশী নতুন ওঠা পিয়াঁজ ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মুক্তার আলী নামে এক ক্রেতার জানান, সাধারণ জনগণের পক্ষে পেঁয়াজ কেনা অসম্ভব হয়ে গেছে। অনেকে পেঁয়াজের দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ীরা আগে অল্প দামে ক্রয় করা পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি করছেন। প্রশাসনের অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি চালু না হলে দাম কমার সম্ভাবনা কম।
নিচাবাজরের খুচরা ব্যবসায়ী আফছার আলী ও বক্কর হোসেন জানান, তারা পাইকেরি বিক্রেতার কাছে প্রতিকেজি দেশী পিয়ঁয়াজ কিনেছেন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং আমদানিকৃত ১৭০ টাকায় ও দেশী নতুন ১৫০ টাকায় কিনেছেন।শামছুল আলম নামে এক পাইকেরী বিক্রেতা জানান, তিনি মোকাম থেকে পিঁয়াজ কিনেছেন। প্রতিকেজি পিঁয়াজের দাম নিয়েছে ১৮০ টাকা করে। এছাড়া মোকাম থেকে নাটোর বাজারে যেতে তার গাড়ি খরচ হয়েছে। এর পরও তিনি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, পিঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের সাথে এনিয়ে ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে। কি কারনে দাম বেড়েছে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেননা বলে জানান। তবে একটি সুত্র জানায়, ভারত থেকে আমাদানি বন্ধ হওয়ার কারনে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর প্রচারের পর থেকে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
ক্রেতারা আভিযোগ করে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন ধরনের উদ্দোগ না থাকায় নিত্য পণ্যের দাম বেপরোয়া গতিতে বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঁঞা বলেন, একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে স্থানীয় বাজার সমুহে অভিযান শুরু করা হয়।