নাটোরে সরবরাহ বাড়ায় স্বস্তিতে সবজির দাম, বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা মুরগি আর মাছের দাম

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি:


ক্রেতাদের আনাগোনায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নাটোরের নিত্যপণ্যের বাজার। সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমলেও কেজিতে বেরেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা মুরগি আর মাছের দাম। এছারা প্রতি কেজিতে দের থেকে তিন টাকা বেরেছে সয়াবিন,পাম্পওয়েল, সুপার তেল।

আগের মতই রয়েছে রয়েছে চাল ও ডালের দাম। তবে পিয়াজ আর কাঁচা মরিচের দাম ১৫-২০ বেশী দরে বিক্রয় হচ্ছে। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর সকালে নিত্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে কিনা তা তদারকি কার্য্যক্রম করেছেন শহরের নীচা বাজারে।

বৃহস্প্রতিবার (২৫ জুলাই) নাটোর শহরের মাদ্রাসা বাজার, নীচা বাজার, ষ্টেশন বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের অন্য দিনের মতো সকাল সকাল কেনাবেচাও শুরু হয়েছে মাছ ও কাঁচাবাজারে। সংকট কেটে যাওয়ায় বেড়েছে সবজির সরবরাহ।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বলছেন, সংকটের কয়েক দিন পার করার পর স্বস্তির কথা। তারা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বেড়ে গেছে সবজির সরবরাহ, তাই কমেছে দামও। কয়েকদিন পর আবারও ভরপুর আলু-পেঁয়াজের দোকানগুলো আলুর দাম ঠিক থাকলেও বারতির দিকে-পেঁয়াজের দাম বলে জানালেন বিক্রেতারা।

স্থানীয় মোমিন নামে এক আলু-পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে হওয়ায় শুরু হয়েছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। এতে আলু-পেঁয়াজের সরবরাহও স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। অন্যদিকে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম জানান, পাইকারিতে একদিনে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমে নেমেছে ১৮০ থেকে টাকায় দাম কমেছে বেগুনেরও; বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা আরও জানান, চার-পাঁচদিন আগে যে দামে বিক্রি হয়েছে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি, বুধবার সকাল থেকে তা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা কম দামে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। কমতির দিকে ডিমের বাজারও।

এদিকে, প্রত্যাশা মতো ক্রেতা নেই মুদি দোকানগুলোতে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানালেন দোকানিরা। যদিও সংকট বাড়ায় ডাল, তেল ও চিনির দাম এখনও চড়া। এদিকে, চালের বাজার পরিবহন সংকটে পড়লেও বিক্রেতারা জানান, তেমন চাহিদা না থাকায় নতুন করে বাড়েনি দাম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ