মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি
দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগের পর নাটোর কারাগার থেকে হত্যা মামলায় মুক্তি পেয়েছেন সিংড়ার বিএনপির নেতা মইনুল হক। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার তিনি তিনি মুক্তি পান।
জেলার সিংড়া উপজেলার চামারী এলাকার নুর আহমেদ মৃধা ও তার ছেলে রেজাউল করিম পচু হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এতদিন কারাগারে ছিলেন। মইনুক হক চামারী ইউনিয় বিএনপির সাধারণ সম্পদক ও পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ।
ভুক্তভোগী মইনুক হকের ভাতিজা রবিউল ইসলাম জানান, সিংড়া উপজেলার চামারী এলাকার ও পাঙ্গাশিয়া শিবপুর মসজিদের জমি অবৈধ ভাবে ভোগ করছিল স্থানীয় আওয়ামী-লীগ নুর আহমেদ মৃধা পরিবার। এতে বিএনপি নেতা মইনুল হক গ্রুপের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ্য ও গোলা-গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে বিএনপির লোকজন আহত হলে বিএনপি নেতাকর্মিদের পিটুনিতে খুন হয় আওয়ামী-লীগ কর্মি নুর আহমেদ মৃধা তার ছেলে রেজাউল করিম পচু । ওই ঘটনায় নিহতের ভাই নুরনবী মৃধা বাদী হয়ে ১৯৯৫ সালে সিংড়া থানায় ২৩ জন কে আসামী করে সিংড়া থানায় মামালা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১১ আসামি নাটোর জজ কোর্ট থেকে খালাশ পায়।
নাটোর কারাগারের জেলা শেখ মোঃ রাসেল এ তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ১৯৯৫ সালে সিংড়া থানা ডাবল হত্যা মামলায় এদিন বেলা ১১টার পরে তিনি কারাগার থেকে বের হন। এর আগের তাঁর মুক্তির যাবতীয় কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছে। এমামলায় তাকে ৩০ নাভেম্বর ২০৯৭ সালে মৃত্যু দন্ড দেয়া ২০০২ সালে মার্চ মাস থেকে তার সাজা কার্য্যকর হয়। পরে আপিল বিভারে ২০০৩ সালে মৃত্যু দন্ড রায় সংশোধনী হয়ে তাকে যাবৎ জীবন দন্ড দেয়া। মামলায় ৭ বছর প্রায় ২ মাস দিন মৌকুব পেয়ে তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালে জেলার সিংড়া উপজেলার চামারী এলাকায় শিবপুর পাঙ্গাশিয়া গ্রামে মসজিদের জমি দখলের বিরোধ কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেত কর্মিদের হামলায় আওয়ামী-লীগ কর্মি নুর আহমেদ মৃধা তার ছেলে রেজাউল করিম পচু খুন হয় ।