মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে জেলার উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মিস আসমা শাহীনের সভাপতিত্ব এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় । এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হায়াত এর সঞ্চালনায় এ সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী, জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক বলেন, ঐতিহ্যবাহী নাটোরকে নান্দনিক নাটোর হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো, যাদুঘর স্থাপনসহ রাজবাড়ির উন্নয়ন, ইকো পার্ক স্থাপন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, ফ্লাইওয়ে নির্মাণ, যানজটমুক্ত ও পলিথিনমুক্ত শহর স্থাপন, সকল জলাধারে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রস্তাবনাসমূহকে পরিকল্পনা আকারে প্রণয়ন করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
কর্মশালায় অন্যান্যরা বলেন, নাটারে আগত পর্যটক ও অতিথিদের সুবিধার্থে উত্তরা গণভবনের বহিরাঙ্গনে একটি আন্তর্জাতিক মানের কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পর্যটন কমপ্লেক্স করাসহ সেখানে মোটেল, ফুডকোর্ট, শপিং মল, চিলড্রেন কর্নার, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, সিনেপ্লেক্স, স্যুভেনির শপ ও পার্কিং প্লেস করার যে স্বপ্ন ছিল তা স্বপ্নই রয়ে গেছে। এছাড়া চলনবিল, পদ্মবিল, মিনি কক্সবাজারসহ অন্যান্য পর্যটন স্থাপনাসমূহের পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং নাটোর উত্তরবঙ্গের পর্যটন হাবে পরিণত হবে তারও কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না এছারা নাটোরের উপর দিয়ে রাজশাহীতে যে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন গেছে সেখানেও নাটোরকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জেলার নদ-নদী, অসংখ্য খাল ও জলাশয় পুনর্খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা করে যাতে এসব জলাধারের পানি সেচকাজে ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমানো যায়। নদনদী বা খাল-বিলের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো স্থাপনা নতুন করে যাতে কেউ নির্মাণ না করে।
এসময় জেলা প্রশাসক কার্য্যলয়ের বিভিন্ন দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।