রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম হৃদয় মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের হরিশপুর চেয়ারম্যান রোডে এঘটনা ঘটে। মারধরের ৩ দিন পর সোমবার (৮ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হৃদয় নাটোর (পৌর) ছাত্রলীগের সভাপতি ও হরিশপুর চেয়ারম্যান রোডের মৃত্য গোলাম মোস্তফার ছেলে । সে ঢাকা কলেজের অনার্স এর ছাত্র ছিল। এ বিষয়টি নাটোর থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিগারেট কেনা নিয়ে নাটোর শহরের রোকেয়া ক্লিনিকের মালিক রফিকুল ইসলাম মিঠুর ভগ্নিপতি রেন্টুর সঙ্গে হৃদয়ের বাগবিতন্ডা হয়। এই ঘটনায় মিঠু ও তার পরিবারের সদস্যরা হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে আসে। শুক্রবারে হৃদয় জুম্মার নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে গেলে সেখানেও তাকে মারধর করা হয়।
আহত অবস্থায় হদয় ওই দিন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তাহেরপুর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
সোমবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠু আত্মগোপনে চলে যান।
নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, প্রথমে আমরা জেনেছিলাম অসুস্থজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তার বাড়িতে গেলে জানতে পারি, সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মিঠু নামের এক লোক হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে এবং ওই দিন উল্টো হৃদয়ের নামে নাটোর থানায় অভিযোগ দেয়।
এদিকে হৃদয় আহত অবস্থায় তার আত্মীয়র বাড়িতে যায় এবং সেখানে আরো অসুস্থ হলে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এখন পরিবারের ধারণা, ওই হামলার জেরেই আহত হয়ে হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে। সত্যিই যদি মারধরের ঘটনায় মৃত্যু হয় তাহলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিসহ সাংগঠনিক ভাবেও কর্মসূচী নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মৃত্যু নিয়ে যেহেতু একটা প্রশ্ন উঠেছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতারে পাঠানো হয়েছে। যদিও তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা তার পরেও ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। এ রিপোর্টের সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের কথা শুনলাম। তবে এই ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।