নাটোর ১ আসনে ফিরে পেলেন শহিদ মমতাজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ

আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৪, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ


নাটোর প্রতিনিধি:


নাটোর ১(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন হারিয়ে পুনরায় আবার ফিরে পেলেন, শহিদ মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।

এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা পায়, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানে (মরণোত্তর) একুশে পদক-২০২৩- শহিদ মমতাজ উদ্দিনের হাত ধরে। তিনি ছিলেন লালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (মুজিব বাহিনী)-এর কমান্ডার।

শহিদ মমতাজ উদ্দিন ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ (১৯৮৬-১৯৮৮) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মমতাজ উদ্দিন রিকশা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদের মেয়াদ ছিল ১ বছর ১০ মাস।

তিনি ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ফজলুর রহমান পটলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৩ সালের ৬ জুন রাত ১০টার দিকে নাটোরের লালপুরের গোপালপুর-আব্দুলপুর সড়কের দাঁইড়পাড়া নামক স্থানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর স্ত্রী শেফালী মমতাজ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এই পরিবারে শহিদ মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নাটোর-১ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। কিন্তু তার কর্ম দোষে কপাল পুড়ে। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়। পরে এই আসনে নৌকার টিকিট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নতুন মুখ সাবেক ছাত্র নেতা শহিদুল ইসলাম বকুল।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (৭ জানুয়ারি) নাটোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ (ঈগল) প্রতীকে ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলকে পরাজিত করে ১ হাজার ৯৯৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি।

আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৩ সালে আব্দুলপুর সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) এজিএস নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামরিক আদালতে যাবৎ জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হন।

১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চাপের মুখে সামরিক সরকার কর্তৃক দন্ডাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তিনি ১৯৯২ সালে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ