মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
নাশকতা এড়াতে এবং নিরাপত্তার কারণে চালু হওয়ার পর থেকে ১৬ বছরে এই প্রথমবারের মত বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে না থেমে ঢাকা থেকে ভারত এবং ভারত থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ^রদীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে দর্শনা থেকে ছেড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশ করে ১১:৫৮ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ১০ মিনিট অপারেশনাল যাত্রা বিরতি দিয়ে চলাচল করার নিয়ম থাকলেও নাশকতার আশঙ্কা ও নিরাপত্তা জনিত কারণে ঈশ্বরদী স্টেশনে না থামিয়ে ‘থ্রো পাস’ করা হয়। একইভাবে শনিবার সকাল ৮:১৫ মিনিটে মৈত্রী ট্রেনটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী স্টেশনে আসে ১২:২০ মিনিটে। এই ট্রেনটিও ঈশ্বরদী স্টেশনে না থামিয়ে ‘থ্রো পাস’ করে দর্শনা হয়ে ভারতে চলে যায়।
মৈত্রী এক্সপেস ট্রেনে দায়িত্বরত পরিচালক (গার্ড) মো. আফজাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা ও দর্শনা থেকে ছাড়ার পর মাঝখানে অন্য কোনো স্টেশনে যাত্রাবিরতি নেই। ট্রেনটি অপারেশনাল স্টপেজ হিসেবে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ১০ মিনিটের জন্য থামানো হয়ে থাকে। কিন্তু শনিবার এই প্রথমবারের মত ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে থামানোর অনুমতি ছিল না বলে ঈশ্বরদীতে ট্রেনটি থামানো হয়নি।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিপূর্বে ঈশ্বরদীতে এই ট্রেনেসহ বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনা এবং শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণ ও নাশকতা এড়িয়ে চলতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে শনিবার মৈত্রী এক্সপ্রেস টেনকে ঈশ্বরদী ষ্টেশনে না থামিয়ে ‘থ্রো পাস’ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি চালুর পর থেকে এই প্রথমবারের মত ঈশ্বরদীতে না থামিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে চলাচল করল ।