রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষিসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের বড়াইল মোড়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মাছচাষি আনোয়ার হোসেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের দীঘিপাড়া গ্রামে ৪৪ দশমিক ৭৭ একর জলাশয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দিঘিটি লিজ নেন ভাতকুণ্ডু সমবায় সমিতির সভাপতি জমশেদ আলী। লিজ নেওয়ার পর সেটির দেখভাল ও মাছ ছাড়ার জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিলিহারী গ্রামের আনোয়ার হোসেনকে হস্তান্তর করেন। আনোয়ার হোসেন সেই দিঘিতে নানান প্রজাতির মাছ চাষ করেন।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নিয়ামতপুর উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের দীঘিপাড়া গ্রামের দিঘি থেকে মাছ ধরতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন মাছচাষি আনোয়ার হোসেনের লোকজন। বড়াইল মোড়ে পৌঁছানোর পর আসামিরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে মাছ ধরার পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন এবং চারজনকে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া দিঘি থেকে প্রায় ৩০ মণ মাছ তুলে নেওয়া হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক চার লাখ টাকা।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দিঘিটি ভাতকুণ্ডু সমবায় সমিতির সভাপতি জমশেদ আলীর মাধ্যমে লিজ নেওয়ার পর মাছ চাষ শুরু করি। কিন্তু কিছু লোক আমার মাছ ধরার কাজে বারবার বাধা দিচ্ছিল। মাছ চুরি এবং হামলায় আমার চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।