বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, উৎপাদন, প্রক্রিয়া ও খাবার টেবিল পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা হবে। এই লক্ষেই খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য সুরক্ষায় দৃশ্যমান কাজ করতে চায় বর্তমান সরকার। সে লক্ষেই আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। দেশের মানুষ প্রকৃত অর্থে কাজ ও তার ফলাফল দেখতে চায়। নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নানকিং দরবার হলে ‘নিরাপদ খাদ্য : খাদ্যে ভেজাল ও দুষণ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধন করতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় রাজশাহীর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নিরাাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুল বাতেন মিয়া।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. মুনির হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশিনার ( উন্নয়ন ও আইসিটি) সুলতান আব্দুল হামিদ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজাহার আলী, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৈয়দা জেবুন্নিসা সুলতানা, এডিসি ( জেনারেল) মো. আতাউল গনি প্রমূখ।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ভেজাল খাদ্য গ্রহণে আমরা অভ্যস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। এখন আমরা থাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ, বিশ্বের চতুর্থতম চাল উৎপাদনকারী দেশ। আমরা খাদ্য রফতানি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রত্বের সরকার খাদ্য ঘাটতি পূরণের পরেই খাদ্য নিরাাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতেই নানামুখি উদ্যোগ হাতে নিয়েচে। এ লক্ষেই আইন প্রণয়ন, কর্তৃপক্ষ গঠন ও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। প্রবিধি প্রণয়নের কাজও শেষের দিকে।
মন্ত্রী বলেন অতীতের কোনো সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মতই জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলোকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণের জন্য কাজের মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে।