নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্বাচনি ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের পৃথক ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত ১১টার নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় (স্বাধীনতা চত্বর) এলাকায় এবং বুধবার ভোরে শহরের হাজরা নাটোর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) জোবায়ের হাবিব, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটোর-২ আসনে সদর উপজেলার হাজরা নাটোর এলাকায় শামিয়ানা দিয়ে তৈরি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর একটি নির্বাচনি ক্যাম্প ছিল। ওই রাতে নৌকার সমর্থক ও কর্মীরা ক্যাম্পে নির্বাচনি কাজ শেষে বাড়িতে চলে যায়। পরে বুধবার ভোরে ওই ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় ক্যাম্পে থাকা শামিয়ানা পুড়ে যায়। সকালে নেতাকর্মীরা ক্যাম্পে এসে দেখেন চারপাশের শামিয়ানা পোড়া অবস্থায় রয়েছে। তারা বিষয়টি পুলিশ ও নেতাদেরকে জানান।
জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাটোর-২ আসনে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, নির্বাচনি অফিসে আগুন দেয়ার ঘটনায় ১২টি নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ২টি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন অনুসন্ধান কমিটি ৭টি আহাদ আলী সরকার ও তার কর্মিরা এবং ৩টি স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এব্যপারে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, রাতের অন্ধকারে আমার নির্বাচনি ক্যাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এটা হিন্দু এলাকা, এখানে নৌকা ছাড়া কেউ ভোট দেয় না। তাই ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও শহরের মাদরাসা মোড়ে নৌকার আরেকটি ক্যাম্পে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় নৌকার প্রার্থীর একটি নির্বাচনি ক্যাম্পে কে বা কারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশের একটি টিম তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।