রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
নির্বাচনে মেয়েদের প্রার্থী করা ইসলাম বিরোধী। এর ফলে মুসলিম ধর্ম দুর্বল হচ্ছে। এবার বিতর্কিত নিদান দিলেন আহমেদাবাদের জামা মসজিদের শাহী ইমাম। তাঁর বক্তব্য, মেয়েরা যদি পুরুষদের মতো প্রার্থী হন, তাহলে হিজাব সংস্কৃতি রক্ষা হবে কীভাবে? শাব্বির আহমেদ সিদ্দিকি নামের ওই মুসলিম ধর্মগুরুর দাবি, অসৎ উদ্দেশ্যেই মুসলিম নারীদের প্রার্থী করে রাজনৈতিক দলগুলি।
সংবাদসংস্থা অঘও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহমেদাবাদের জামা মসজিদের শাহী ইমাম বলেছেন,”আপনি যদি নারীদের বিধায়ক, মন্ত্রী বা কাউন্সিলর বানান, তাহলে হিজাবের দাবি দুর্বল হয়ে যাবে। তখন সরকার বলবে আপনাদের মেয়েরাই তো সংসদ, বিধানসভা, পুরসভায় বসে আছেন।”
ইমামের বক্তব্য, নারীরা ভোটের প্রার্থী হলে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব ধর্মের পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে, সেটা ইসলাম বিরোধী।
শাব্বির আহমেদ সিদ্দিকির প্রশ্ন, পুরুষের কি অভাব পড়েছে? কেন নারীদের প্রার্থী করা হচ্ছে? তিনি বলছেন, মুসলিম নারীদের টিকিট দেওয়াটা আসলে রাজনৈতিক দলগুলির ষড়যন্ত্র। ওরা ভাবে এখন নারীরাই গোটা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করে। একজন নারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই গোটা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রশ্ন উঠছে গোটা বিশ্ব যখন ক্রমেই হিজাব বর্জনের দিকে এগোচ্ছে। ইরানের মতো রক্ষণশীল দেশেও যখন হিজাব বর্জনের দাবিতে সাধারণ নাগরিকরা পথে নামছেন, তখন ভারতের মতো উদারনৈতিক দেশে স্রেফ হিজাব সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে নারীদের রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখার নিদান কতটা সমর্থনযোগ্য?
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন