নির্বাচনে হারার পর কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ কী?

আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২৪, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


আর মাত্র ৭২ দিন পর পদত্যাগ করবেন কমলা হ্যারিস। মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর নিজের সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভাষণ দেন তিনি। ভাষণে নানা কথা বললেও, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনও পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি ৬০ বছর বয়সী কমলা। কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?

২০২৮ সালের জন্য প্রস্তুতি?
সাবেক ডেমোক্র্যাটিক এই প্রার্থীর সামনে সবচেয়ে সহজ বিকল্প হল কিছুটা সময় নিয়ে ২০২৮ সালের আরেকটি নির্বাচনি প্রচারণার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। যেমন: ২০০৪ সালের প্রার্থী জন কেরি জর্জ বুশের কাছে পরাজিত হলেও রাজনীতির মঞ্চ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাননি। তিনি বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সিনেটে ফিরে যাওয়া?
জন কেরির মতো রাজ্য রাজনীতিতে ফিরে গিয়ে আবারো সমর্থন গড়ে তোলা কমলা হ্যারিসের জন্য একটি বিকল্প হতে পারে। তবে এই পথটি তার জন্য সহজ মনে হচ্ছে না। সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক রিপাবলিকান ভাষ্যকার রিচি গ্রিনবার্গ বলেন, কমলাকে হয়তো আগের মতো অর্থ সংগ্রহের সমর্থন পেতে সংগ্রাম করতে হবে।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ভূমিকা
কমলা হ্যারিসের জন্য একটি সম্ভাব্য পথ হতে পারে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা। কারণ তার নামের ব্যাপক পরিচিতি এবং সংযোগ রয়েছে। তবে গ্রিনবার্গ মনে করেন, আর্থিক সহায়তা পুনরুজ্জীবিত করতে কমলা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন।

বই লেখা?
আগের অন্তত দুইজন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী–হিলারি ক্লিনটন ও আল গোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। এরপর তারা লেখালেখি ও অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সেই একই পথে হাঁটতে পারেন কমলা হ্যারিসও।

ট্রাম্পের কাছে ২০১৬ সালে পরাজয়ের পর হিলারি একটি বই লেখেন ‘হোয়াট হ্যাপেন্ড’ শিরোনামে। অন্যদিকে গোর একটি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র ‘অ্যান ইনকনভিনিয়েন্ট ট্রুথ’ তৈরি করেন।

রাজনীতি থেকে দূরে
কয়েক মাসের মধ্যেই কমলা হ্যারিস ভাইস-প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অবসর নেবেন। নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবসরেও যেতে পারেন। গত ২৭ পেনসিলভানিয়ার একটি বইয়ের দোকানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রচারণার কাজ শেষে আমি কিছু ওজন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। কারণ আমাকে অনেক খাটতে হচ্ছে।’
এছাড়া কমলা হ্যারিস হিলারি ক্লিনটনের পথ অনুসরণ করতেও পারেন। হিলারি রাজনীতিতে খুব বেশি সক্রিয় নন। বরং ব্যক্তিগত জীবনের দিকে বেশি মনোযোগী। তবে তিনি দাতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, বাংলাট্রিবিউন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version