সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু সংগঠন বেঁচে থাকবে আদর্শের মাধ্যমে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে সিংড়া উপজেলায় আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতৃবৃন্দদের সংবর্ধনা এবং মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ১৫ বছরে ২১ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। তিনি বার বার গ্রেনেডের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো নিজের জীবনের পরোয়া করেনি। পরিবারের মায়া ত্যাগ করে দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য আন্দোলন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন।
পলক বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের প্রাঙ্গণে আমাদের বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্যস্ত যায়। সেই ড্বুন্ত সূর্য আমাদের বাংলার আকাশে উদীত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ২৩ই জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাও. আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদকসহ সেই সময় সকলের মতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আমাদের সামনে তিনি যে নীতি, আদর্শ রেখে গেছেন তা আমাদের আওয়ামী লীগের কর্মীদের চলার পথে পাত্র।
পলক আরো বলেন, আ’লীগকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে আমাদের নাটোরের প্রয়াত স্বগীয় বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরি বার-বার শারীরিক ভাবে আহত হয়েছেন, লাঞ্চিত হয়েছেন এবং মৃত্যুর মুখ হতে ফিরে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। শহীদ রফিকউদ্দিন সরদার, শহীদ মমতাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী চাচাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধরে রেখেছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চাই না আমি বাংলার অধিকার চাই।
আর বঙ্গ বন্ধুর টানেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না, বাঙালির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি শেখ হাসিনা রাজনীতি করি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়, কিছু চাইতে হয় না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কে দিয়েছেন? বিদ্যুতের দাবিতে তো আপনাদের রাস্তায় নামতে না, গুলি খেতে হয় না। সারের দাবিতে তো আপনাদের রাস্তায় নামতে না, গুলি খেতে হয় না।
আজকে আপনার পদ্মা সেতু মেট্রোরেল বন্ধু সেতু হইছে, তারপর আবার রেল চলাচলের জন্য সেতু হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আছেন বলেই দেশ নিয়ে ভাবছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার কারণে আমরা পারছি, কেউ চিন্তা করে নাই বঙ্গবন্ধু নয় চিন্তা করেছেন। মানুষকে ঘর দিতে হবে জমি দিতে হবে বছরের শুরুতে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসব হচ্ছে পহেলা জানুয়ারি। উৎসব করছেন কারণ নতুন বই পাচ্ছে সন্তান নতুন বই পেয়ে।
প্রধানমন্ত্রী সরকার কি কি করেছেন জুনায়েদ আহমেদ আরো ভালো বলতে পারে আমি তাই বলতে চাই আওয়ামী লীগ জন্ম হয়েছে শোষিত বঞ্চিত নিরীহ মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য। আজ ৫৬০ কে আধুনিক মসজিদ করেছেন কে? শেখ হাসিনার সরকার। কারা নারাই তকবীর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল বলে নৌকায় ভোট দিলে দেশ হিন্দুস্তান হয়ে যাবে বলেছিল? যে মানুষকে নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন সেই শেখ হাসিনাকে কিন্তু মসজিদ করছে। তাই বলতে চাই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নাই, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যাবে না।
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। বিএনপি জামাতের সময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে ২০০১ এর পরে কত লোককে হত্যা করা হয়েছে।
এই নাটোরের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে কে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি জিয়াউর রহমান অন্ধকার যুগে জিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেফতার করেছিল গুম করেছিল গুলি করেছিল হত্যা করেছিল।
সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মো. সিরাজুল ইসলাম, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরি জলি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন ব্যক্তিকে মরণোত্তর সম্মাননা এবং প্রবীণ ৬৩ জনকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।