পত্নীতলায় ‘হরিবাসর’ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ!

আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ৯:২৩ অপরাহ্ণ

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:


নওগাঁর পত্নীতলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের ধর্মীয় উৎসব ‘হরিবাসর’ উদযাপন উপলক্ষে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক) মাধ্যমে। কর্তনকৃত গাছ এখনো জব্দ করেনি কর্তৃপক্ষ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের সড়কের পাশের আনুমানিক ১৫টির মতো বিভিন্ন আকারের সরকারি গাছ রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা এ প্রতিবেদককে জানায়, ভাটপাড়া ও সিধাতৈল গ্রামের খোকন বর্মন, গিরীশ বর্মন, পরিমল বর্মন, প্রদীপ বর্মন, দিনেশ বর্মন, বাবলু বর্মনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন মিলে গাছ কাটেন।

সরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাতের আঁধারে ১৪-১৮ টি আকাশমণি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। সব গাছই জীবিত।

প্রকাশ থাকে যে, গাছগুলো খড়ি করার সময় ইউএনও নির্দেশে পাঠানো ইউপি ভূমি অফিসের নায়েব ও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে কাটা গাছগুলো দেখতে পান।

উল্লেখ্য, সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন।জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রদীপ বর্মন বলেন, হরিবাসর করার জন্য গ্রামের ছেলেরা চারটা গাছ কেটেছে। তিনটি বড় আর একটি চিকন গাছ।

আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় রাতে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন করে গাছ কাটার বিষয়ে অবগত করেন। এরপর আমি ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। পরে তারা ঘটনার সত্যতা আমাকে নিশ্চিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, গাছ কাটার আগে অভিযুক্তরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি।

আমাইড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ‘হরিবাসর’ উদযাপন উপলক্ষে ২/৩টি মরা গাছ কেটেছে। জানার পর গ্রাম-পুলিশ পাঠিয়েছি। পরে কি হয়েছে বলতে পারবো না।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুজ্জামান মিলন বলেন, ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। তিনি আরও জানান, এছাড়াও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছগুলো জব্দ করতে এবং থানা ও বন বিভাগকে লিখিত অভিযোগ দিতেও বলেছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ