মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
পত্নীতলা প্রতিনিধি
এক সময়ের ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওগাঁর পতœীতলা উপজেলাসহ আশেপাশে এখন শস্য ভা-ার হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এলাকায় পানি সেচ প্রকল্পে চাষিদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ। উপজেলার চাষিদের বুকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, সঙ্কট ও সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপণ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কৃষকেরা সরাদিনই মাঠের কাজেই সময় দিচ্ছেন এখন পুরোদমে।
বিএমডিএ’র নওগাঁ রিজিয়ন-২, পতœীতলা জোনের সহকারী প্রকৌশলী আল মামুনুর রশিদ জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ উপজেলার মোট ৪৩৮টির মধ্যে এখন সবগুলোই চালু রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকাসহ ১১টি ইউনিয়নে এবারে ২২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ সম্ভব হয়েছে। আউশ ধানে বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা বর্তমানে রোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন ও এবারো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাষিরা জানান, বিভিন্ন সঙ্কট আর সম্ভাবনার মধ্যে দিয়ে বোরো রোপণ এগিয়ে চলছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপগুলো দিয়ে অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার নিরবিছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় সেচের কোন সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও আবওহাওয়া অনুকূল থাকায় এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কবলেও পড়েন নি বলেও জানিয়েছেন চাষিরা। চাষিরা আরো জানায়, কৃষি কাজে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আজ অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে চাষাবাদের জন্য বিএমডিএ’র অবদানে আমাদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে জীবনযাত্রা।
উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শাশইল গ্রামের বোরো চাষি বকুল কবির, জিল্লুর রহমান, লোকমান হোসেন, রমজান আলি, মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, আমাদের এ মৌসুমে পানি সেচের এমমাত্র ভরসা হচ্ছে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ। কারণ, এ মৌসুমে ধান চাষে সময় মতো পানি পেলেই ফলন ভালো হয়।
উপজেলার পাটিচরা গ্রামের চাষি মুমিন হোসেন ৮ বিঘা, পতœীতলা ইউপি’র পতœীতলা বাজার এলাকার আতোয়ার হোসেন ৫ বিঘা, রিপন হোসেন ১০ বিঘা, ঘোষনগর ইউপি’র খিরশিন দক্ষিণপাড়ার চাষি মোশাররফ হোসেন ২বিঘা বোরো চারা রোপণ শেষ করেছেন। এরা জানান, এখন পর্যন্ত পানি সেচের কোন সমস্যা দেখা দেয় নি।