পত্নীতলায় বেড়েছে তালশাঁসের চাহিদা

আপডেট: জুন ৪, ২০২৩, ১:২২ পূর্বাহ্ণ

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ):


নওগাঁর পত্নীতলায় জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড গরমে রসালো ফল কচি তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে। উপজেলার নজিপুর পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড, সরদারপাড়া মোড়, চকনিরখীন মোড়, নতুনহাট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় শীতল গাছের নিচে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান ভর্তি কচি তাল নিয়ে বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

সকলের কাছে জনপ্রিয় এই কচি তালের শাঁস! ফুটপাতে বিক্রেতাদের ঘিরে প্রচন্ড রোদে একটু প্রশান্তির প্রত্যাশায় সকল পেশার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন কচি তালের শাঁস খেতে। একেকটি কচি তালে দুই-তিনটি চোখ থাকে। প্রতিটি চোখ বিক্রি হয় তিন-পাঁচ টাকা পর্যন্ত। কেউ কেউ নিজে যেমন খাচ্ছেন, তেমনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য বাসা-বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই দলবেঁধে বন্ধু ও সমবয়সীরা গ্রামের তাল গাছে থেকে কচি তাল কেটে খুব মজা করেই ইচ্ছে মতো খাচ্ছেন। আর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেউ লাইভে ও অনেকেই ফটো পোস্ট করছেন। তা দেখে আফসোস করে কমেন্টও করছেন নানা রকম মন্তব্যযুক্ত।

পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার হাইস্কুল পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল আলীম (৫৫) জানান, ‘কচি তাল বেচে আমার প্রতি দিনে চার থেকে ছয়’শ টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে।

পত্নীতলা উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শাশইল মধ্য পাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দস মাখন (৭৬) আফসোস করে বলেন, ‘প্রত্যেক বছর তালের গাছ কেটে ফেলার ফলে তালের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এভাবে তাল গাছ কাটা হলে আগামীতে হয়তো পত্নীতলা উপজেলায় তেমন তাল আর চোখেই পড়বে না। আমরা সকলেই যদি তাল গাছ রোপনে এগিয়ে আসি, তাহলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বজ্রপাতের কবল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তেমনি পুষ্টিসমৃদ্ধ এই ফলটি স্বাদ প্রত্যেকেই ভোগ করতে পারবে।’

নজিপুর পৌর সদরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিদ প্রভাষক এম.এ গফুর বলেন, ‘তালে কচি শাঁস অবস্থায় যেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, তেমনি পাকা তালও খেতে ভারি মজাদার। তালের রস দিয়ে গুড় তৈরি করা যায়। আবার তালের পিঠাও বাঙালীর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।’