পদ্মার পরিত্যক্ত বালুচরে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল ফলাচ্ছেন কৃষক

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ৯:২০ অপরাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা


রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার বালুচরে কৃষকরা বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। এক সময় পদ্মা ছিল দুঃখের কারণ। এখন সেই পদ্মার বুকে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে অভাব দুর করছেন কৃষকরা। অক্লান্ত পরিশ্রমে অসম্ভবকে সম্ভব করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন নদী ভাঙা সর্বহারা শত শত পরিবার। নদীর বুকে জেগে ওঠা পরিত্যক্ত বালুচরে স্বপ্নের ফসল বুনে ঘরে তুলছেন খেটে খাওয়া মানুষ।



জানা গেছে, পদ্মায় জেগে ওঠা এক সময়ের ধূ-ধূ বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ। এইতো কয়েক বছর আগে যেখানে ছিল বালুচর, সর্বনাশা পদ্মার গ্রাসে ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। এমনকি অভাব অনটন ছিল তাদের নিত্য দিনের সাথী। এখন তা বদলে গেছে। পদ্মার বালুচরে বন্যায় পলী মাটি জমে উঠায় এইসব চর এখন উর্বর আবাদী জমিতে পরিণত হয়েছে। বালুচরে এখন সোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ।

নদীর তলদেশ শুকিয়ে জেগে ওঠে বালুচর। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা এইসব বালুচরে ফসল ফলানো দুরের কথা, ঘাসও জন্মাতো না। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেই বালুচরে বেগুন, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, রমুন, হলুদ, শষা, সিম, কুমড়া চাষ করে সবুজে ভরে তুলেছেন কৃষকরা।

উপজেলার চকরাজাপুর চরের পরিবারগুলো বিশাল বালুচরকে কাজে লাগিয়ে অভাব দুর করছেন। এই সকল পরিবারগুলো বিভিন্ন ফসল চাষ করে অসহায় দুর করছেন। নারীরা তাদের স্বামী-সন্তান নিয়ে শারীরিক পরিশ্রম করে বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছেন। সেই ফসল বিক্রি করে সফলতা পাচ্ছেন। চলতি মোৗসুমের সুরুতে ফসল চাষ করে চাষীদের মুখে এখন হাসির ঝলক।

চকরাজাপুর চরের সবজি চাষী রবিউল ইসলাম মোল্লা বলেন, বালুচরে কোন ফসল ফলানো যাবে এটা স্বপ্নেও ভাবিনি। এখন বালুচরে ফসল রোপন করে অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছি। প্রতি বছরই বাড়ছে চাষের পরিধি। সেই সঙ্গে বাড়ছে ফলন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, গত কয়েক বছর থেকে বালুচরে ফুল কপি, বাধা কপি, বেগুন আলু, ধান, পাট, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন জাতীয় সবজি চাষ হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, নদীর চরে বিভিন্ন ফসল চাষ করে সেটাই প্রমাণ করছেন খেটে খাওয়া চরের মানুষরা। সরকারি সহায়তা পেলে ওইসব উদ্যোমী মানুষের হাতেই ভাগ্য বদলে যাবে বলে চরের মানুষ আশা করছেন।#