রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নগরীতে চলছে অমর একুশে বইমেলা। বুধবার থেকে নগরীর বড়কুঠির পদ্মাগার্ডেন প্রাঙ্গনে এ মেলা শুরু হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে রাজশাহী কমেডি ক্লাব। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ বইমেলা শেষ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে চোখে পড়লো ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড়। বই প্রেমীরা স্টলে ঘুরে ঘুরে দেখছেন বই। স্টলে সাজানো বইয়ের মধ্যে থেকে খুঁজে বের করছেন নিজের পছন্দের বইটি। আবার অনেকেই স্টলের সামনে দাড়িয়েই পড়ে নিচ্ছেন বইয়ের কিছু অংশ অথবা লেখক পরিচিতি।
মেলার দ্বিতীয় দিনে মেলাতে বই প্রেমীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আর সামনের দিনগুলোতে তা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন মেলার আয়োজকরা। তাদের মতে, এবার মেলাতে তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অনেক বেশি। এছাড়াও বইয়ের বেচাকেনাও অনেক ভালো বলেও জানান তারা।
মেলার আয়োজক তাহমিদ হোসেন সোনার দেশকে বলেন, একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে যেসব বই প্রকাশিত হয়েছে, সেই বইগুলো বেশি খুঁজছেন মেলায় আগত বই প্রেমীরা। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল’র লেখা বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী ‘রিটিন’, হুমায়ুন আহম্মেদ’র ‘১৯৭১’ এ দুটি বই বেশি চলছে। এছাড়াও অনুবাদ গ্রন্থগুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তাহমিদ হোসেন।
ইচ্ছে ফোরাম ও লিখবো যা বলেতে চাই-এর সহযোগিতায় রাজশাহী কমেডি ক্লাবের উদ্যোগে নগরীর পদ্মাপাড়ে দ্বিতীয় বারের মত এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে সোনার দেশ ও রেডিও পদ্মা।
বইমেলায় রয়েছে সাতটি স্টল। স্টলগুলো হলো- মাস্টার সেফ, নিউজ হোম, বুক পয়েন্ট, হৃদি প্রকাশনী, বই বিতান, লিখবো যা বলতে চাই, বই ঘর এবং তথ্য কেন্দ্র। স্টলগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি বই। এছাড়াও প্রতিদিন নতুন নতুন বই যুক্ত হচ্ছে মেলায়।
এএসএম সুলতান নামের একজন বিক্রেতা সোনার দেশকে বলেন, হৃদি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত পঞ্চম নসিবের ‘মাঝ রাতে একটা গল্প শুনিয়ে ছিলেন’ এ বইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। বইটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সোহান রেজা সম্পাদিত ‘গল্পের হাট-৫’ বইটি বই প্রেমীরা কিনছেন। পাশাপাশি সোহান রেজা সম্পাদিত ‘গল্পের হাট-৪’ বইটির চাহিদাও রয়েছে পাঠকদের কাছে। সাজমুন রাহমানে লেখা ‘আমি অরণ্য তোমাকে বলছি’ শিরোনামের এ নতুন বইটি তাদের স্টলে এসেছে বলেও জানান সুলতান নামের এ বিক্রেতা।
মেলায় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মত। তারা বেশির ভাগই এসেছে দলবদ্ধভাবে। মেলায় আসা এসব শিক্ষার্থীদের মতে বইমেলা মানে জ্ঞানের সমাহার।
মেলায় ঘুড়তে আসা মুনমুন নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সোনার দেশকে বলেন, বই মানুষের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালায়। দেশের মানুষের মধ্যে এ জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে এ বইমেলা। মেলায় আসা আরেক শিক্ষার্থী স্মৃতি সোনার দেশকে বলেন, বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে, তাই বইমেলায় এসেছি। বই দেখাছি। যে বইটা পছন্দ হবে, সেটা কিনে নিয়ে যাবো।
‘রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে বইমেলার এ আয়োজনটা ব্যতিক্রম। বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। আশা করি প্রতিবছরই এমন মেলার আয়োজন করা হবে’ এমনটাই বললেন ফাহিম নামের মেলায় আসা একজন দর্শনার্থী।