বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাউল গানের আসর বৈশাখী সাধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং জেলা শিল্পকলা একামেডির ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় সবসার উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করা হয়।
বৈশাখী সাধু মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় বাউল শিল্পী মোস্তফা সরকার, আফাজ বাউল, আজিজুল ভান্ডারি বাউলসহ ২০জন বাউল শিল্পী বাউল গান পরিবেশন করেন। বাউল গানের মাধ্যমে শিল্পীরা আত্মা ও মনের কথা প্রকাশ করেছেন। বাউল শিল্পীদের পরিবেশনায় বাউলগানই যেন হয়ে ওঠে বৈশাখী সাধু মেলার অনুষঙ্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, বাউল গান বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকায়ত সংগীতের একটি অনন্য ধারা। এটি বাউল সম্প্রদায়ের নিজস্ব সাধনগীত। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা একাত্ম হয়ে ফুটে ওঠে বাউল গানে। আরো ফুটে ওঠে সাম্য ও মানবতার বাণী।
তিনি আরো বলেন, শিল্পের চর্চা, শিল্পের বিকাশের জন্য সারাদেশ জুড়ে বৈশাখী সাধুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজকে বাউল গানের মাধ্যমে শিল্পীরা আত্মার কথা ও মনের কথা বলবেন। বাউল গান সংগীত জগতে বিশিষ্ট আসন দখল করে আছে। বাউলের মূল ধর্মই হচ্ছে মানবতা। এই মানবতাকেই তিনি ধারণ করেছেন। ধারন ও লালন করার মধ্য দিয়েই তিনি ধর্মকে প্রচার করেছেন।
মেলার বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, নিজ দেহের মধ্যে ঈশ্বরকে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতা থেকে বাউল ধারার সৃষ্টি। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে সাধন-ভজনের গূঢ়তত্ত্ব প্রকাশ পায় গানের মাধ্যমেই। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম সুন্দর ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর অধরাকে ধরাই বাউল সাধন-ভজনের উদ্দেশ্য। শহরে, গ্রামে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে বাউল সংগীত। এই বাউল গানকে আমরা প্রচার এবং প্রসার করতে চাই। কারণ এটি ঐতিহ্যের একটি অংশ। এই ঐতিহ্যকে লালন এবং ধারণ করতে চাই। সেই সাথে সারাবিশ্বে এর প্রসার ঘটাতে চাই।#