মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ৩১ দফা রুপরেখা জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নওহাটা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের (সাবেক) সভাপতি মো. রায়হানুল আলম রায়হান।
সমাবেশ শেষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য মো. আলী হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান হেনা, জেলা বিএনপি সদস্য শাহাদাত হোসেন হাবিব, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. মোজাফফর হোসেন, কাটাখালী পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো. নাজমুল হক নাজমুল, পবা উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব মো. শাহরিয়ার আলম বিপুল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব মো. আলামিন, নওহাটা পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. রবিউল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল পবা উপজেলা আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান, পবা উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. গাজীউর রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের (সাবেক) সভাপতি মো. রায়হানুল আলম রায়হান বলেন, আজকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের বিএনপি’র ৩১ দফা রুপরেখা রাজশাহীর জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশ শেষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম- এর “১৯ দফা”, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা’র “ভিশন ২০-৩০”; ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান “৩১ দফার আলোকে আগামীর বাংলাদেশকে‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ হিসেবে গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে‘রাষ্ট্র মেরামতে’৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ৩১ দফা রূপরেখার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো— বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছানো; ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন; সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা; পর পর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না; সংসদে‘উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা’প্রবর্তন; সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করা।
এছাড়া রয়েছে— স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল;‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’প্রণয়ন;‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’গঠন;‘মিডিয়া কমিশন’গঠন; সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ; দেড় দশকে গুম-খুনের বিচার;‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’গঠন; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে কোনও প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত না করা; মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন; যুক্তরাজ্যের আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন; সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালুর প্রতিশ্রুতি।