পবার কাটাখালী আদর্শ ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অভিযোগ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহীর পবা উপজেলায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জবর দখল করে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেছেন কলেজের এক শিক্ষক। শুধু তাই নয়, স্বঘোষিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেও তিনি নেমপ্লেট দিয়েছেন তার অফিস কক্ষের দরজায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাটাখালি আদর্শ ডিগ্রি কলেজে।



এ নিয়ে ওই কলেজ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় যেকোন সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার সচেতনমহল ও কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকগণ। অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন ও সহকারি অধ্যাপক সিরাজুল হকের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি থানায় ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়েছে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে সোমবার পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বসলেও কোন সুরাহা হয়নি।

সেখানে কথাবার্তার ফাঁকে ফাঁকে সিরাজুল হক উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করেন। এ অবস্থায় সাধারণ শিক্ষকগণ নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেনের কাছে আবেদন করেন- অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন ও সিরাজুল হকের মধ্যকার সমস্যা আজকের নয়। অনেক আগে থেকেই তাদের মধ্যে কাজে-অকাজে ঝগড়াঝাটি, হিংসা প্রতিহিংসা লেগেই থাকে। এমন অবস্থায় ছাত্র আন্দোলনের ফলে ৫ আগস্টে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে সিরাজুল হক প্রভাব বিস্তারপূর্বক নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেন। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের দোষী-নির্দোষ প্রমাণের আগ পর্যন্ত ওই দুইজনকে বাদ দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চান সচেতন এলাকাবাসী এবং অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ খণ্ডনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিরাজুল হক বলেন, ‘এলাকার লোকজন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী আমাকে এই সম্মান দিয়েছেন। তাদের অনুমতিক্রমেই আমি দায়িত্ব নিয়েছি। অধ্যক্ষ তার কু-কর্মের জন্য পালিয়ে থাকলে তো কলেজ চলে না। তাই স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব পালন করছি’।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমাকে নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই সিরাজুল হক বিভিন্ন সময়ে আমার সাথে বৈরী আচরণ করেন। সঠিক তদন্ত হলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে প্রমাণিত হবে। তিনি বলেন, সিরাজুল হক আমাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। যে কারণে আমি অভিযোগ দিয়েছি। তবে অন্যকোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পবা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক সিরাজুল হকসহ অধ্যক্ষ ও অন্যদের ডাকা হয়েছিল। তিনি কিভাবে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসলেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই বিষয়টি সঠিক তদন্তের স্বার্থে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সদস্যরা হলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহিনুল হক ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএমএন জহুরুল ইসলাম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ