পবার খড়খড়ী হাটের ইজারা বাতিল থেকে পুনরায় বিবেচনার আবেদন

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


পবার খড়খড়ী হাটের ইজারা বাতিল থেকে পুনরায় বিবেচনার আবেদন করেছেন হাট ইজারাদার মো. মেহেদী হাসান মন্টু। সোমবার (২ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে এ আবেদন করেন।

আবেদন থেকে জানা যায়, ১৪৩১ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ তারিখ হতে ৩০ শে চৈত্র তারিখ পর্যন্ত ৭০ লাখ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা নেওয়া হয়। তৎকালীন পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াছিন আলীর সাথে ইজারা চুক্তি মূলে হাটের ইজারা নিয়ে প্রায় ৩ মাস মাস যাবৎ হাট আদায় করা হয়।

হাটের ইজারার শর্ত ও আইন প্রতিপালন করে ইজারার আদায়ে চাট টাংগানো সরকারি বিধি অনুযায়ী করা হয়। পাশাপাশি হাট ইজারার যাবতীয় কাজ আইন সম্মত করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পবা কর্তৃক ইজারাদার বরাবর একটি চিঠি প্রদান করা হয়। যাতে বাংলা ১৪৩১ সনের খড়খড়ি হাটের ইজারা বাতিল বলিয়া উল্লেখ করা হয়। কারণ হিসাবে দৃশ্যমান স্থানে টোল আদায়ের চার্ট টানাতে ব্যর্থ এবং নির্ধারিত হারের বেশি টোল আদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়। যা সত্য নয় বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরো জানা যায়, হাটের অফিসের সামনে এবং গোল চত্তরের সামনে প্রকাশ্য খাজনার চার্ট টাঙ্গানো হয়েছিল। বর্তমানেও ইজারাদার অফিসে রয়েছে। শুধুমাত্র গোল চত্তরের চার্টটি গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা গণ আন্দোলন চলাকালে ভাংচুর করা হয়। এমতাবস্থায় ইজারাদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা অতি অল্প সময়ের মধ্যে তড়িঘড়ি করে হাট/বাজার ইজারা চুক্তি বাতিল করে নোটিশ দেয়ায় ইজারাদার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

এমতাবস্থায় নির্বাহী কর্মকর্তা পবা উক্ত নোটিশ পুনঃর্বিবেচনা করে হাটে টোল আদায়ের অনুমতি না দিলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে পড়বে এবং হাটের সাথে যুক্ত প্রায় ৮০ জন মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করিবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সরকারি যাবতীয় নিয়ম বিগত সময়ে মান্য হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও মেনে চলবে বলে অঙ্গীকার করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version