পবার নকল নবীশ আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পুনরায় বোনের বাড়ি নির্মাণে বাধার অভিযোগ

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:পবার নকল নবীশ আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে বোনের বাড়ি নির্মাণে বাধার অভিযোগ উঠেছে। তিনি সবেমাত্র কারাগার থেকে বেরিয়ে আবারো শুরু করেছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে পুঠিয়া উপজেলার পশ্চিমভাগ বাজার এলাকায় পুনরায় নিজের বোনের নির্মিতব্য বাড়ি নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এর আগেও পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আফরোজা-খাতুন তার নিজ বোন ইকতার জাহান-ইতির বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ ও ভাংচুর করেন। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা হয়। মামলার নোটিশ না নিয়ে নোটিশ পৌঁছানো কারির কর্মচারীর সাথে মারমুখি আচরণ করেন। যা ছবিসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। আফরোজা খাতুনের দৌরাত্ম, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অপসারণ ও বদলীর আবেদন করেন তার নিজ বোন ইকতার জাহান ইতি। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি শুক্রবার বিকালে নির্মিতব্য বাড়ি নির্মাণে বাধা দেয়। পাশাপাশি তিনি কর্মরত রাজমিস্ত্রিকে কাজ না করতে বলেন। এরপরও কাজ করতে থাকলে বাড়ি থেকে হাসুয়া নিয়ে মিস্ত্রিকে মারতে উদ্যোত হয় এবং কাজের চাঙ্গার সব দড়ি কেটে দেয়।

জানা গেছে, আফরোজা খাতুন তার বৈদেশিক নিজ বোনের বাড়ি জবর দখলে রাখার দায়ে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে ছিলেন। বৈদেশিক তহমিনা খাতুনের চন্দ্রিমা থানাধিন সোনালী ব্যাংকপাড়া, জামালপুর এলাকার মিনা নিবাসের আমমোক্তার এস এম আয়নাল হক। তিনি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে চুক্তি করে বিবাদী আফরোজা খাতুন কে মাসিক আট হাজার টাকা ভাড়ায় মিনা নিবাস ভাড়া দেন। ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে এই চুক্তি নামায় স্বাক্ষর ও সম্মত হয়ে আফরোজা খাতুন মিনা নিবাসে বসবাস করতে থাকেন। আফরোজা খাতুন ওই সালের মাত্র তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে কোন ভাড়া পরিশোধ করেননি। এতে বকেয়া রয়ে যায় দুই লাখ ৫১ হাজার টাকা।

এই টাকা পরিশোধ ও বাড়ি ছাড়ার জন্য তাকে ১৫ দিন সময় বেধে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করে আমমোক্তার এস এম আয়নাল হককে গালি-গালাজ ও মারমুখি আচরণসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তিনি বকেয়া টাকা আদায় ও প্রাণনাশের হুমকীর বিষয়ে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারী মহানগর রাজশাহীর আমলী আদালত চন্দ্রিমায় মামলা করেন। এই মামলায় রোববার দিবাগত রাতে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ আফরোজা খাতুনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে জামিনে মুক্তি পান।

কর্মরত প্রধান মিস্ত্রি তাহাজুল ইসলাম বলেন, বিকালে হঠাৎ করে আফরোজা খাতুন কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। পাশাপাশি তিনি নানান অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। এরপর তিনি বাড়ি থেকে একটি বড় হাসুয়া নিয়ে আমাদের হুমকি দেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ