সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:পবা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে পবা উপজেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে প্রথমে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী ও এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরক্ষণেই শহিদ বেদিতে ফুল দেন- পবা উপজেলা পরিষদ, পবা উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা দলিল লেখক সমিতি, আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ, চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ, কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ, শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ, কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ। এরপর শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. আরজিয়া বেগম ও ওয়াজেদ আলী খাঁন, নওহাটা পৌর মেয়র মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, পবা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এসএম আয়নাল হক, সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান, দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সবস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসক গোষ্ঠির চোখ-রাঙানি ও ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, রফিক, জব্বার, শফিক ও বরকত গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হোন। সেই জন্যই বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হলো শোক ও বেদনার। পাশাপাশি মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত দিবস।