পরিবহন মালিকদের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবদক


রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছেন। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১৬ অক্টোবর ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।



আহতদের মধ্যে আছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল, আমিরুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন। আমিরুল ও সাজ্জাদ বাস মালিক সমিতির কর্মচারি। অন্য আরেকজনের নাম জানা যায়নি।

সড়ক পরিবহন গ্রুপের বর্তমান কমিটি বাতিল করে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়ান শ্রমিক নেতা গৌতম মোহন চৌধুরী রাকেশ গ্রুপের কিছু শ্রমিক। তিনি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মহানগরের নেতা। মানববন্ধন শেষে তাদের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। মানববন্ধন চলাকালে কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল গ্রুপের নেতারা ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে মারধর ও হাতাহাতিও হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আলমাস খান বলেন, সড়ক পরিবহন গ্রুপে বর্তমানে যে কমিটি রয়েছে সেটা পুরোটাই আওয়ামীপন্থী। তারা অবৈধভাবে সড়ক পরিবহন গ্রুপের অফিস দখল নিয়েছে। আমরা এ কমিটি চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি চাই। এর আগ পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ চাই। এ দাবিতে আমরা কর্মসূচি পালন করতে গেলে বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ তার অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হোক এরপর একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা সড়ক পরিবহণের দায়িত্ব নিবে। কোনো অবৈধ প্রতিনিধি আমরা মানবো না।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বর্তমান কমিটির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি পদত্যাগ করায় আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। তারা আগে আমাদের ওপর হামলা করেছে।

আরএমপির রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, সড়ক পরিবহণের দুই গ্রুপের মারামারির খবর পেয়ে দ্রুতই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনোপক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ