রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
দেশের মানুষ আস্থা রাখতে চায়
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী দেশের মানুষের মধ্যে আশা জাগাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যকে অতিকথন বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি মানুষ হিসেবে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন । কথায় পরিমিতবোধ তার স্বভাব। তিনি সজ্জন, রুচিবোধ সম্পন্ন নিষ্ঠ কাজ-আশ্রয়ী মানুষ। তিনি যখন প্রতিশ্রুতি দেন তখন তার ব্যাপারে আশান্বিত হতেই হয়। যদিও দেশের মানুষের অভিজ্ঞতা বড়ই তিক্ততার। মন্ত্রীরা যা বলেন তা করেন না, যা করেন তা গণমানুষের জন্য প্রত্যাশিত হয় না। এমন ধারণা জনমনে আছেÑ তবে সবার জন্য বিষয়টি একই রকম নয়।
আমাদের আশপাশে তাকালে পরিবেশ হানিকর অনেক কাজই লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের অনেক কাজ পরিবেশের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠে। কখনো বা সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে বাদ-প্রতিবাদ হয় কিন্তু সেটা এক সময় গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এই হারিয়ে ফেলাটা দেশের ভবিষ্যতের জন্য খৃুবই কঠিন ও জটিল সময়ের অপেক্ষা তৈরি করে। বরং সমস্যা উপেক্ষা বা না এড়িয়ে গিয়ে দেশের মানুষের মতে, মানুষের সাথে সমাধান করাটা সব দিক থেকেই সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বায়ুদূষণ কমাতে ১০০ দিনের কর্মসূচি দিনের ঘোষণা করেছেন। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মন্ত্রী ১০০ দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার চারপাশের ৫০০ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করবেন। তিনি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন-বায়ুদূষণ বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। তিনি এও বলেন, যেটা এতদিন ছিল না। যারা বায়ুদূষণের জন্য দায়ী তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়। মন্ত্রীর এ দৃঢ় উচ্চারণ কোনোভাবেই লোকদেখানো নয়। এবং এটিই সত্য যে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার আর কোনো বিকল্প নেই। কেবল সদিচ্ছা থাকলেই জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি যা জনগণের চাহিদারই প্রতিফলন, তার সমাধানে অগ্রগতি আসবেই।
আমরা জানি, বায়ু দুষণের ক্ষেত্রে ইটভাটাগুলো মারাত্মক ধরনের ভূমিকা রাখে। ইটভাটা শুধু বায়ুরই ক্ষতি করে না, এর সাথে পানি, মাটি ও ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। যা জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবৈধ ইটভাটা সারা দেশে ভুরি ভুরি আছে। এতো ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন কীভাবে? শুরুটা তো হোক। রাজধানী ঢাকার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হলে ক্রমে সারা দেশের অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। ইটের বিকল্প যখন আছে- সেটাকে কীভাবে সহজলভ্য করে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা যায় সে দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।