পশ্চিমবঙ্গে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ, জেলায় জেলায় নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা

আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১, ২:৩৩ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক


রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক স্বাস্থ্যদপ্তর। জোর দেওয়া হচ্ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বা নাইট কারফিউতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, হাওড়া-হুগলি ছাড়াও সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতা, মালদহ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিংয়ে।

মহামারী করোনা সংক্রমণ আটকাতে নতুন করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। আলিপুর (সদর), বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ – এই পাঁচটি মহকুমার ১৩টি থানা এলাকায় মোট ৪২টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রতিটি এলাকায় সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জন দীপ্তেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই উপসর্গহীন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা নিজেরা বুঝতে পারছেন না। তাঁদের থেকে অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত টিকাকরণে জোর দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন ডা. সরকার।

রাজ্যে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার দশটি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকাকে। মহেশতলা পুরসভার ১৪ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৪ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বিধাননগর এলাকায় রয়েছে ১৩টি কনটেনমেন্ট জোন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত এবং বারাকপুর মহকুমা এলাকায় দুর্গাপুজোর পর বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করে কোভিড মোকাবিলায় নামল প্রশাসন।

নতুন মাইক্রো কনটেনমেন্ট এলাকার মধ্যে রয়েছে বারুইপুর বøকের হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি, জয়নগর ২ নম্বর বøকের গড়দোয়ানি ও শাহাজাদাপুর পঞ্চায়েতের চারটি, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লুকের বাঁশড়া ও তালদি পঞ্চায়েতের দু’টি, ক্যানিং ২ নম্বর বøকের সারেঙ্গাবাদ, দেউলি-২, নারায়ণপুর, তাম্বুলদহ-২ পঞ্চায়েতে ছ’টি, ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লুকের বোলসিদ্ধি-কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি, মগরাহাট ১ নম্বর ব্লুকের হরিহরপুর পঞ্চায়েতে একটি, ফলতায় একটি, কাকদ্বীপ বøকের রামকৃষ্ণ ও ঋষি বঙ্কিম পঞ্চায়েতের দু’টি এবং নামখানা ব্লুকের র হরিপুর পঞ্চায়েতের একটি এলাকা। ঘোষিত মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের আওতাধীন এলাকাগুলিতে আরোপ করা হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। ওই এলাকাগুলিতে থাকবে পুলিশ পিকেটিং। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চলবে মাইকে প্রচার। হোটেল রেস্তরাঁ রাত্রি সাড়ে দশটার পর কোনওভাবেই খুলে রাখা যাবে না।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ