পশ্চিমাঞ্চল রেলের ৬ ট্রেন থেকে কেটে রাখা হয়েছে ১৫ বগি, ৩ ট্রেন চলছে এসি কোচ ছাড়াই

আপডেট: জুন ৬, ২০২৩, ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগে ৬টি ট্রেন থেকে শোভন, এসি চেয়ার ও এসি কেবিন কোচ কেটে রাখা হয়েছে। এ কারণে ট্রেনগুলির কোনটি ১২টির পরিবর্তে ৮টি, কোনটি ১১টির পরিবর্তে ৭-৮টি কোচ নিয়ে চলাচল করছে। ৩টি ট্রেন চলাচল করছে এসি কোচ ছাড়াই। ফলে এসব ট্রেনের যাত্রীদের দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ট্রেনে এসি চেয়ার কোচ ও কেবিন কোচ না থাকায় প্রচন্ড গরমে যাত্রীরা নন এসি কোচে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার সাধারণ শোভন শ্রেণির নন এসি কোচে উপচে পড়া ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে চলাচল করতে হচ্ছে ট্রেনযাত্রীদের। গত ১ সপ্তাহ ধরে চলছে এই দুর্ভোগ।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একই রুটের আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটের আন্তঃনগর রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঈশ্বরদী-খুলনা রুটে আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও একই রুটের আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসসহ ৬টি ট্রেন থেকে ২ থেকে ৪টি করে এসি ও নন এসি কোচ কেটে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এসব বগি বা কোচের কোনটিতে এসি বিকল, কোনটি চলার অযোগ্য হয়ে পড়ার কারণে ট্রেন থেকে কেটে বগিগুলো মেরামতের জন্য কারখানায় পাঠানো হয়েছে। আবার দুটি ট্রেনের এসি কোচগুলি যেন ইদের আগে বিকল না হয়ে পড়ে সে জন্য আগে ভাগেই সেগুলোকে কারখানায় পাঠানো হয়েছে।

রেল সূত্র জানায়, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে একটি এসি চেয়ার, একটি এসি কেবিন ও ২টি নন এসি শোভন শ্রেণির কোচ কেটে রাখা হয়েছে। রূপসা ও সীমান্ত ও সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এসি চেয়ার ও এসি কেবিন কোচ ছাড়াও ১টি করে শোভন শ্রেণির কোচ কেটে রাখার ফলে এই ৩টি ট্রেনে এখন কোন এসি কোচ নাই। একইভাবে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এসি নন এসি মিলিয়ে ৩টি কোচ কেটে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। উল্লেখিত ৬টি ট্রেনের মধ্যে সুন্দরবন ও চিত্রা ট্রেনে ১২টির পরিবর্তে ৮টি, রূপসা ও সীমান্ত ট্রেন ১১টির পরিবর্তে ৮টি, সাগরদাঁড়ি ট্রেন ১১টির পরিবর্তে ৭টি ও কপোতাক্ষ ট্রেন ১০টির পরিবর্তে ৭টি কোচ নিয়ে চলাচল করছে। এসব ট্রেনে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন টিকেট কেটেও আসন না পেয়ে একদিকে যেমন দাঁড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে অন্যদিকে ট্রেনগুলোতে বগি বা কোচ কমিয়ে দেওয়ার কারনে শত শত যাত্রীরা চলাচল করতেই পারছেন না।

এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ইদের আগে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত কোচের প্রয়োজন পড়বে, সে কারণে এখন থেকেই এসব ট্রেনের যেসব কোচে সমস্যা ছিল সেগুলে মেরামত করতে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। রেলের পাকশী বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল জানান, এসব ট্রেনের এসি কোচের মধ্যে বেশ কয়েকটির এসি সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ায় সেগুলো সংস্কার করা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ