শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
মাত্র ৫ মিনিট। তার মধ্যেই ৫০০ মিলিলিটার মূত্র পরিণত হবে বিশুদ্ধ পানিতে! এমনই অভিনব স্পেসস্যুট বানিয়ে ফেলেছেন গবেষকরা । গত শতকের সাতের দশক থেকেই মহাকাশচারীদের উন্নত থেকে উন্নততর পোশাক বানানোর চেষ্টা করে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। অবশেষে মিলেছে দুরন্ত সাফল্য।
স্পেসওয়াকের সময় নভোচররা নিজেদের পোশাকের মধ্যেই মলমূত্র ত্যাগ করেন। কেননা তাঁদের পোশাকে থাকে বহুস্তরীয় অ্যাডাল্ট ডায়পার। যা তৈরি হয় অত্যধিক শোষণ ক্ষমতাযুক্ত পলিমার দিয়ে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও বর্জ্য ‘লিক’ করার বিষয়ে বার বারই অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে মূত্রনালীতে সংক্রমণ কিংবা গ্যাসট্রিকের অসুখ হতে দেখা যায়।
কিন্তু নতুন পোশাকটি সত্যিই অভিনব। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বানিয়েছেন নতুন ধরনের স্পেসস্যুট। এতে রয়েছে একটি বাহ্যিক ক্যাথিটার, যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ফরোয়ার্ড-রিভার্স অসমোসিস ইউনিট। কী কাজ এই ইউনিটের? এর সাহায্য়েই মূত্র থেকে তৈরি হবে বিশুদ্ধ জল। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন স্পেস টেকনোলজি’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, মূত্র সংগ্রাহক যন্ত্র ছাড়াও এই পোশাকে থাকবে এমন অন্তর্বাস যা বহুস্তরীয় উন্নত ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি। এরই পাশাপাশি গোপনাঙ্গের সঙ্গে একটি সংগ্রাহক কাপ লাগানো থাকবে (স্বাভাবিক ভাবেই নারী-পুরুষ ভেদে তা আলাদা আলাদা ধরনের)। আরও উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত এই পোশাকে কোনও রকম ‘লিক’ করার আশঙ্কা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। ২০২৫ ও ২০২৬ সালে চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযান করতে চায় নাসা। তার আগে নভোচরদের পোশাকে ‘বিপ্লব’ আনার পথে এগোল নাসা।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন