নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১২ দিন পর বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে রাবির প্রধান ফটকে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এরপর একটি মিছিল নিয়ে বিনোদপুর বাজারের দিকে চলে যায়। এরপর থেকে রাজশাহীতে গুজব রটে রাবিতে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। শুধু রাজশাহী নয় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এ তথ্য ছড়িয়ে যায়। প্রশ্ন থাকে এমন গুজব ছড়ালো কে?
ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিছিল নিয়ে পোস্ট করা হয়। দেশের বাইরে থেকেও রাবির মিছিল নিয়ে জানানো হয়। সেখান থেকে অনেকে ছবিও পোস্ট দেন। যা রাজশাহীতে কর্মরত সংবাদকর্মীদের আগে দ্রুত তাদের হাতে চলে যায়। এরপর শুরু হয় রাবিতে ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। এই কথা রাজশাহীর সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। তবে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ করে। রাবির এই মিছিলে গুলি পুলিশ গুলিও ছুড়েছে বলে অনেকে জানায়। তবে তা একদম মিথ্যা তথ্য ছিল।
রাবির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম। তিনি সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, রাবি শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করেছে। তারা তাদের বক্তব্য পেশ করে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বিনোদপুর এলাকা ত্যাগ করেছে। আমরা চায়নি তাদের সাথে কোনো ধরনের সংঘাত না হয়। তাদের শিক্ষকরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তাদের সাথেও কথা বলা হয়েছে। শিক্ষকরা ছাত্রদের বুঝিয়ে নিয়ে চলে গেছে। রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা বর্তমানে খুব ভালো আছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা রকম ফায়দা লুটতে একটি মহল এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। তাই এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ। ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (টুইটার), হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কি পরিমাণ আইডি থেকে ছড়ানো হচ্ছে এসব গুজব এবং কোন কোন দেশ থেকে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই পুলিশের কাছে। তবে এখন সবাই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে এমন গুজব ছড়াচ্ছে।