বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ছয় শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই সদস্যদের বিষপ্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার (১০ জানুয়ারি) খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতের শেখ নিয়াজী কুর্না তখতিখেল এলাকায় শিশুসহ পরিবারের ১১ জনকে তাদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন, সরদরাজ নামক এক ব্যক্তির ছেলে সরদরাজ তাবেদার, তার স্ত্রী সওদানা বিবি, তাদের ছেলে আল্লাহ নূর ও আবদুল রহিম এবং মেয়ে মুজলেফা ও বসরিনা বিবি। নিহতদের মধ্যে আরো রয়েছে সরদরাজের আরেক ছেলে আমালদার, তার স্ত্রী গুলদানা, তাদের ছেলে আমিরুল্লাহ এবং মেয়ে নাইফা ও নূরবানা।
তাবেদারের চাচা উমর গুল (৬৭) পুলিশকে বলেন, আমার ও আমার ভাতিজার বাড়ি পাশাপাশি। বুধবার সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে শোবার ঘর বাইরে থেকে তালা দেয়া দেখতে পাই। এক পর্যায়ে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিই। দরজা ভাঙার পর তাবেদার, তার স্ত্রী ও সন্তানদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।
তিনি বলেন, আমালদার, তার স্ত্রী ও সন্তানদেরও তাদের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে আমি আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের ডেকে লাশগুলো সেরাই নওরাং শহরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করি।
উমর বলেন, আমালদারের মেয়ে চামতির বিয়ে হয়েছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলার মাদাখেল এলাকার বাসিন্দা সাদ্দার খানের ছেলের সঙ্গে। কয়েকদিন আগে সাদ্দার খান আমালদারের বাড়িতে রাত কাটিয়েছিলেন। গুলের দাবি, সাদ্দার খান-ই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে। কারণ তিনি ও তার ছেলে চামতি বিবির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন।
স্থানীয় পুলিশের ধারণা, নিহতদের দুই-তিন দিন আগে নির্যাতন ও বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা ডনকে জানান, ওই ১১ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডন, জাগোনিউজ