রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
স্পেনে সন্ধান পাওয়া গেল প্রাচীন এক সেতুর। আনুমানিক প্রায় ছ’হাজার বছরের পুরনো সেই সেতু। এই আবিষ্কারের ফলে মানব ইতিহাসের দিক অনেকটাই বদলে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টে। স্পেনের ম্যালোর্কার ওই অঞ্চলে জনবসতি ছিল প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে। কিন্তু এই সেতুটির বয়স প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ছ’হাজার বছর। আগের ধারণা বদলে দিচ্ছে এই আবিষ্কার। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডা থেকে প্রফেসর বোগদান ওনাক এবং তাঁর দল সেখানকার জেনোভেসা গুহায় এক প্রাচীন সেতুর সন্ধান পান।
২৫ ফুট লম্বা এই সেতুর আশপাশে মানববসতির সন্ধান প্রথম পাওয়া যায় ২০০০ সালে। সেসময় কাছাকাছি পাওয়া গিয়েছিল মৃৎপাত্র। সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আনুমানিক ৩৫০০ বছর পুরনো বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এবারের আবিষ্কার আরও প্রাচীনকালে সেই অঞ্চলে মানুষ বসবাস করত তাতেই শিলমোহর দিতে চলেছে। জানা গিয়েছে, গবেষণাটি চলেছে প্রায় ৪ বছর ধরে।
অধ্যাপক বোগদান জানাচ্ছেন, এই নিমজ্জিত সেতুর উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয়, সেখানকার প্রারম্ভিক বসতি স্থাপনকারীরা গুহার জলসম্পদকে কাজে লাগিয়েছিলেন। আবিষ্কৃত সেতুটি চুনাপাথর ব্লক দিয়ে তৈরি। যদিও বহুবছর আগেকার সেতুটির তৈরি পদ্ধতি আজও রহস্যে মোড়া। গুহার ভিতরে রয়েছে একটি হ্রদ। অনুমান, সেই হ্রদের সঙ্গে গুহার সংযোগ স্থাপন করার জন্যেই বানানো হয়েছিল এই সেতু। গুহায় ঢোকার মুখেই ছিল এক চেম্বার। যেখানে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হত, সঙ্গে নানা খাবারও মজুত রাখা থাকত। এই ঘরে যাতায়াতের জন্য সেতুই ছিল ভরসা।
বর্তমানে জেনোভেসা গুহাটি জলের তলায়। এর কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানাচ্ছেন, সেতুটি হ্রদের জলে বর্তমানে প্লাবিত হলেও ৪০০ থেকে ৫০০ বছর আগে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল। নতুন এই তথ্য জানাচ্ছে, স্পেনের ম্যালোর্কার অঞ্চলে জনবসতি আর সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো নয়, আরও বেশি অন্তত ছ’হাজার তো বটেই।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন