শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনায় গত ১২ দিনে ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলায় নাশকতা, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল) ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার ১১টি থানা পুলিশ। একদিন আগে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৩ জনকে।
পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, শনিবার পাবনা শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা রাজিবুল হাসান রাজিব (৩৫) কে। তার বাড়ি পাবনা পৌর সদরের চক ছাতিয়ানী মহল্লার পাসপোর্ট অফিসের সামনে। তবে রাজিবের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।
তবে পুলিশ জানায়, রাজিবুল হাসান রাজিব দীর্ঘদীন ধরেই সরকারবিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপি জামায়াতকে সহযোগিতা করে নানা সময় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়ান। এলাকাতেও তিনি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়ান। এছাড়া সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থের জোগান দিয়ে আসছিলেন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্যে তিনি সর্বদা সহযোগী করে আসছিলেন। পরে বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, গত ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পর থেকে আতংকে দিন কাটছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিদিনিই গ্রেপ্তার চলছে। গ্রেপ্তার আতংকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে অনেকে নেতাকর্মীকে।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘এখানে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সম্প্রতি পাবনাসহ রাজধানীতে যে নাশকতা হয়েছে তার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াত বা শিবিরের নেতাকর্মী। অযথা কেউ যাতে হয়রানী না হয় সেদিকেও পুলিশ সজাগ আছে।’