পাবনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন II এমপি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

আপডেট: মে ১৮, ২০২৪, ৯:২৫ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


পাবনায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন। এই ধাপে পাবনার তিনটি উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছের প্রার্থীরা। এর মধ্যে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান এমপির ছেলে গোলাম হাসানাইন রাসেলের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছে অপর প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তিন উপজেলার মধ্যে সবার নজর ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। এই উপজেলায় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনাইন রাসেল। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার বিপক্ষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো দুইজন প্রার্থী। বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বাকিবিল্লাহ এবং জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মেছবাহুর রহমান রোজ। তবে এমপি ও তার ছেলের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমপি ও তার ছেলে যেভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন তাতে নির্বাচনে থাকা সম্ভব হয়নি। তাদের হুমকি ধামকিতে আমার কর্মীরা মাঠে থাকতে পারেনি। যেকোনো মূল্যে তাদের আমার কাছ থেকে তাদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।’

আর অপর প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেছবাহুর রহমান রোজ বলেন, ‘প্রধান সমস্যা হলো এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছেন তারা (এমপি ও তার ছেলে) যে ভোটাররা আতঙ্কিত। ভোট কেন্দ্রে যাতে স্বত:স্ফূর্ত ভোটার উপস্থিতি না হয় সে জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তারা। যেকারণে ভোট চাওয়া চাইতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কথাই বেশি বলতে হচ্ছে। আশা করি সকল বাধা ঠেলে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি পুত্র ও চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ‘শুধু এই উপজেলা নির্বাচন নয়, কোনো নির্বাচনেই এমপি প্রভাব বিস্তার করেননি। আর আমাকে এমপি পুত্র হিসেবে নয়, উপজেলার মানুষ ভালবেসে প্রার্থী করেছেন। আপনারা সকল জায়গায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন, যারা এসব অভিযোগ করছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যেকারণে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পাবনা-৩ আসনের এমপি মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, পাবনার তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩৩৭ জন।